সেপ্টেম্বর ২, ২০২০
৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকার অনলাইনের রেজিস্ট্রেশনঃতথ্যমন্ত্রী

আজকের খবর ডেক্সঃ
সচিবালয়ে মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

“পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোর রেজিস্ট্রেশন যেন সহসা দেওয়া হয় সে বিষয় নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। আমরাও মনে করি যেসব পত্রপত্রিকা বের হয়, বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির যেসব পত্রপত্রিকা বের হয়, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি তদন্তের প্রয়োজন নেই।

“কারণ এগুলো অলরেডি তদন্ত করেই মোটামুটিভাবে সেই পত্রিকাগুলো বের হয়, অনেকগুলো স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করব।”

কেবল স্বতন্ত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল নয়, টেলিভিশন, বেতার ও ছাপা পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণ এবং আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিও চালাতে হলেও নিবন্ধন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে সোমবার অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধন করেছে সরকার।

পত্রপত্রিকার অনেক বিল সরকারি দপ্তরে আটকে আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো পত্রিকার ২০ কোটি টাকার বিলও আটকে আছে। সেসব বিল যাতে বিভিন্ন দপ্তর তাড়াতাড়ি ছাড় করে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

“তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাগিদপত্র দেব। ইতোপূর্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ নিয়ে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেটির আলোকে আমরাও একটি তাগিদপত্র দিয়েছিলাম, সেটির আলোকে কিছু বিল ছাড়ও হয়েছিল।

“কিন্তু যে পরিমাণ বিল বকেয়া আছে তার তুলনায় যে পরিমাণ ছাড় হয়েছে তা খুব নগণ্য, সেজন্য আমরা আরেকটি তাগিদপত্র দেব।”

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে পত্রিকার বকেয়া বিলগুলো পরিশোধ করলে তা বেশি কাজে লাগবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, “আমরা মূলত অনলাইন মিডিয়া নিয়ে যে সঙ্কট ছিল, সমস্যা ছিল, তার সমাধান কীভাবে করবে, এই নতুন আইনের পরে কত দ্রুত সময়ে তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি। মন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন, দ্রুত এই সঙ্কট নিরসন হবে এবং দ্রুত মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলোর রেজিস্ট্রেশন দিয়ে দেওয়া হবে।

“আমরা প্রথমত আইনের আওতার মধ্য থেকেই সংবাদপত্রের অনুমোদন নিয়ে থাকি। সেখানে নতুন করে তদন্ত হলে দীর্ঘসূত্রতা যাতে না হয়, সেজন্য প্রস্তাব ছিল দ্রুততম সময়ে করার জন্য। মন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন, এটা খুব দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দেবেন।”

নঈম নিজাম বলেন, “সংবাদপত্র সারা পৃথিবীতে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সময় অতিক্রম করছে, বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। বাংলাদেশের সংবাদপত্র, বাংলাদেশের মিডিয়া একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছে, সব মিডিয়ারই কম-বেশি।

“যেখানে যে সঙ্কটগুলো থাকে, সেটার সমাধানে তথ্যমন্ত্রী সচেষ্ট থাকবেন এবং আমাদের সহায়তা করবেন।”

নঈম নিজাম বলেন, “মিডিয়াকে টিকিয়ে রাখতে হলে, মিডিয়াকে আগামীতে টিকে থাকতে হলে বিশ্ব বাস্তবতার আলোকে বাংলাদেশকেও একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন… বিলগুলো দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা করবেন। অন্যান্য সঙ্কট সমাধানে আমরা মাঝে মধ্যে বসব।”

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *