আগস্ট ১৮, ২০২০
১:০০ অপরাহ্ণ

অবশেষে ওসি প্রদীপসহ রিমান্ডে ৩ জন

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে রিমান্ডে নেয়া হলো ওসি প্রদীপ, এস আই লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১ টার কিছু পরে র‍্যাব তাদের রিমান্ডে নিয়েছে।

এর আগে সোমবার আদালতের নির্দেশের ১২ দিন পর ওসি প্রদীপ, এস আই লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে রিমান্ডে নেয়ার ঘোষণা দেন র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

সেদিন তিনি আরো জানান, সিনহা হত্যাকাণ্ডের দিন পুলিশের জব্দ করা ২৯টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করছেন তারা।

ঐ দিনই দু’দফার শুনানি শেষে তিন কর্মকর্তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে দেন আদালত। গত ১৪ আগস্ট, এএসআই লিটনসহ চার পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। তবে বারবার পেছাতে থাকে সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া।

অবশেষে, সোমবার কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ জানান, মঙ্গলবার এই তিন কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হবে।

এদিকে কারাগারে থাকা বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে সোমবার দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি। বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমকে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আগামী ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের ঘোষণা দিয়ে সিনহা হত্যার প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৬০ জনের বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শ্যামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি তদন্ত শুরুর পরপরই কক্সবাজারে যান পুলিশের আইজিপি ও সেনাপ্রধান। ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ সাত আসামি।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *