খবর ডেস্ক: কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ সীমান্ত দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত। কাউ্উআর টুক, বর্ধনংখাল, মাঝরটুক ও বরমসিদ্ধীপুর দিয়ে নামছে ভারত থেকে চোরাই করা পাথর সাথে মাদকও। এই এলাকার সীমান্ত পাহারা দিতে দেওয়া হয়েছে বিজিবির ক্যাম্প। কিন্তু বিজিবি ঐ এলাকা পাহারা দিলেও তাদের চোখের সামনে দিয়ে অবাধে নামছে ভারত থেকে চোরাই পাথর।
গুঞ্জন রয়েছে বিজিবিকে ম্যানেজ করে আসছে এই পাথর। অনেকের ধারণা এই পাথরের সাথে ভারত থেকে আসতে পারে মাদক দ্রব্য।
সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ও উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে ভারতীয় মদসহ গ্রেফতার করে। সীমান্ত এলাকার পাহারার দায়িত্বে থাকা বিজিবি জিরো টলারেন্স থাকলে হয়তো ভারত থেকে এইসব মাদক দ্রব্য আসতো না বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এদিকে স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, কালাইরাগের বিজিবির সোর্স হিসেবে পরিচিত মৃত আব্দুস সালামের পুত্র মো. রুফেজ ও মৃত সোয়াব আলীর পুত্র বিলাল মিয়ার নেতৃত্বে সীমান্তের ১২৫১ নং পিলার থেকে ১২৫২ নং পিলার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পাথর চুরি করা হচ্ছে। অপর দিকে নাজিরের গাঁওয়ের মনফর আলীর ছেলে আবুল কালামের নেতৃত্বে ১২৫২ নং পিলার থেকে ১২৫৩ নং পিলার দিয়ে ভারতীয় সীমানা থেকে আনা হচ্ছে পাথর। তাছাড়া বরমসিদ্ধিপুরের সাহেদ আলীর ছেলে তৈয়ব আলীর নেতৃত্বে ১২৫৩ থেকে ১২৫৫ নং পিলার পর্যন্ত স্থান থেকে পাথর আসছে বাংলাদেশে। এই পাথর গুলো বাংলাদেশের ইঞ্জিন চালিত ছোট্ট ৪০ ফুটের ট্রলি দিয়ে পরিবহন করা হয় সীমান্ত এলাকা থেকে। আর এইসব ট্রলি থেকে বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে এই সোর্সরা নিয়ে থাকেন ১ হাজার টাকা।
এদিকে গত ৩ নভেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এই পাথর চোরাকারবারিদের লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। সে জন্য ১ দিন বন্ধ ছিল ঐ এলাকার পাথর চোরাকারবার।
এলাকাবাসীর বিজিবির দিকে আঙুল তুলে বলেন, তাদের প্রশ্রয়ে কয়েকজন চোরাকারবারি রাতে ও দিনে ভারতীয় সীমান্ত থেকে পাথর চুরি করছে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা আরো বলেন, ৩ তারিখ বিএসএফ ফাঁকা গুলি না করে যদি তাদের উপর গুলি করত, তাহলে ঐ দিনই অন্তত ২০/২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক গুলিবিদ্ধ হতো। আমরা চাই নিরাপদ কর্মসংস্থান। জীবন বাজি রেখে আমরা কর্মসংস্থান চাইনা। তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আকুতির সুরে বলেন, কোম্পানীগঞ্জের পাথর কোয়ারী গুলো খুলে দিয়ে আমাদের নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করুন। এলাকার লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়ায় জীবন বাজি রেখে এসব পাথর চুরি করছে বলেও দাবি তাদের।
বিজিবি কালাইরাগ ক্যাম্পের দায়িত্বরত অফিসার বলেন, ভারত থেকে কাউকে পাথর আনতে দেয়া হচ্ছে না। যারা আনতেছে তারা আমাদের অগোচরে আনতেছে।