নভেম্বর ৯, ২০২০
৫:৪০ অপরাহ্ণ

আটকের পর কি বলল আকবর

খবর ডেস্ক: এসএমপির বন্দরবাজার ফাড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যার মুল হোতা এসআই (বরখাস্তকৃত) আকবর হোসেন ভুইয়াকে কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে।

সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে আকবর সিলেট জেলা পুলিশের কাছে আছে।

জানা যায়, সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় খাসিয়ারা তাকে আটক করে।

এসময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আকবর তাদের বলেন- তিনি রায়হানকে মারেন নি, ছিনতাই করতে গিয়ে পাবলিক তাকে মেরেছে। তিনি তাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে সে মরে গেছে।

তিনি পালিয়েছিনে কেনো, জানতে চাইলে আকবর জানান- তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে জানার পর গ্রেফতার এড়াতে তিনি পালিয়ে যান। তিনি জানান- সিনিয়র তাকে বলেছেন ‘আপাতত চলে যাও দুইমাস পরে এসো সব ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখন চলে এসো এটা হ্যান্ডেল করা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ই অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হয় নগরীর নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে (৩৩)। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। এরপর পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায়।

এর প্রেক্ষিতে, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌওহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস।

তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী, কনস্টেবল সজিব হোসেন।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *