ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ॥ সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে সেবার মান বেড়েছে

খবর ডেক্সঃ- সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে সেবার মান ও রাজস্ব আদায়। সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ই-পাসপোর্ট আবেদন জমা পড়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৫ হাজার আবেদনকারী ই-পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। দিন দিন এমআরপির আবেদন কমলেও চাহিদা বেড়েছে ই- পাসপোর্টের। পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা যাতে কাক্সিক্ষত সেবা পান সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। দালাল বা ট্রাভেল্স এজেন্সির সাহায্যে ছাড়াই ফিঙ্গার ও ছবিতুলাসহ যাবতীয় কার্যক্রম সমাপ্ত হচ্ছে সিলেট বিভাগীয় পাসর্পোট অফিসে। এ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এক দিকে গ্রাহকরা যেমন ভোগান্তি মুক্ত সেবা এবং সেবার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সরকারী রাজস্ব ও বাড়ছে অনেক গুণ। এছাড়া, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্টধারীরা নিজেরাই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। গেল অর্থ বছরের তুলনায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে সরকারী রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। গ্রাহকদের সেবার মান নিশ্চিতে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক একে এম মাজহারুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে পাসপোর্ট অফিসে আসা সেবা গ্রহিতাদের গেইট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি টেবিলে অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দ্রুতসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গ্রাহক বেশি হলেও সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ফিঙ্গার প্রিন্টে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে গত সপ্তাহে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নেই আগের সেই জটলা ও অনাহুত মানুষ জনের হৈ হুল্লোড় ও অবাধে ঘুরাঘুরি। গেইট থেকে শুরু করে পাসপোর্ট ভবনের আশপাশ এলাকা মনোরম। গ্রাহকদের সেবায় অফিসের বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে সাইনবোর্ড। সেখানে রয়েছে সতর্কবার্তা। পাসপোট ফিসের অতিরিক্ত কেউ টাকা দাবি করিলে সরাসরি অফিসের ২০১ নং রুমে অথবা সেখানে দেয়া ফোন নাম্বারে কল দিয়ে এমনকি সরাসরি অভিযোগ দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। ফরম জমা দিতে অথবা পাসপোর্ট গ্রহণ করতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন শত শত নারী-পুরুষ ও। পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ গেটেই দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ সদস্য পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের আবেদনপত্র/ডেলিভারি রিসিট কিংবা অফিসে ঢোকার প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে লোকজনকে ভেতরে প্রবেশে সহায়তা করছেন।

সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে অফিসের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও দালালমুক্ত রাখতে এবং রাজস্ব বাড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এক্ষেত্রে তিনি জনগণকে সচেতন করতে জেলার প্রতিটি উপজেলার পাসর্পোট প্রত্যাশীদের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা সংকটকালীন সময়ে সরকারী সকল নির্দেশনা মেনে অফিসে গেইট থেকে পরিচালক পর্যন্ত গ্রাহকদের সহজ বিচরণের ব্যবস্থাসহ ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলের নাগরিকদের পাসপোর্টের চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসকে দালাল মুক্ত করতে যথাসাধ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আমি যতদিন এখানে থাকবো জনগনের ক্যলাণে সেবাগ্রহীতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবো ।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *