
গত ঈদুল ফিতরের মতো আসন্ন ঈদেও সিনেমা হলগুলো বন্ধ থাকার কারণে মুক্তি পাচ্ছে না কোনো চলচ্চিত্র। অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব কমে গেলেই খুলে দেওয়া হবে প্রেক্ষাগৃহগুলো’।
শুধু ঈদকে টার্গেট করে নয়, ২০২০ সালকে টার্গেট করে একাধিক বিগ বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করেন নির্মাতারা। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এসব সিনেমাগুলো মুক্তির মুখ দেখেনি। ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘শান’, ‘বিদ্রোহী’,‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’, ‘চল যাই’, ‘নারীর শক্তি’, ‘মন দেব মন নেব’, ‘বিশ্বসুন্দরী’,‘পরান’ ও ‘মেকআপ’ ‘নীল ফড়িং’, ‘জিন’, ‘আমার মা’, ‘নীল মুকুট’, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’, ‘বান্ধব’।
করোনার প্রাদুর্ভাব হলে গত ১৮ মার্চ থেকে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, প্রদর্শক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলো মিলে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সিনেমা হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে সিনেমা হলগুলো বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে যায়। তবে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন তুলে দেওয়ার পর সিনেমা হলগুলো সীমিত আকারে খুলতে চাইলেও তথ্যমন্ত্রণালয় থেকে কোনো উত্তর না পাওয়ায় সিনেমা হলগুলো খুলতে পারছেন না হলমালিকরা।
চলচ্চিত্রের সংশ্লিষ্টগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘করোনার প্রকোপ বেশি থাকায় সিনেমা হলগুলো খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। করোনার প্রকোপ চলাকালে দেশে বন্যার আঘাত এসেছে। এমন সময় সিনেমা হল খোলা ঠিক হবে না। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও সিনেমা হল খুলে দেওয়া হয়নি। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি করোনা প্রাদুর্ভাব আর একটু কমলেই সিনেমা হলগুলো খুলে দেওয়া হবে।’
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসের পর মাস এভাবে সিনেমা হলগুলো বন্ধ থাকার কারণে কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এখন যদি সিনেমা হল খুলে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে দর্শক যদি সিনেমা হলে না আসে তাতেও অনেক বড় ধাক্কা আসবে প্রযোজকদের।
চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘সিনেমার অবস্থা এমনিতেই খারাপ অবস্থায় আছে। বিগত কয়েক বছর থেকে দুই ঈদে বেশ ভালো ব্যবসা করতো সিনেমাগুলো। এবার করোনার কারণে হল মালিকদের ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি না। তবে আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠবো।’