আবুল খায়ের:- হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ছিলেন ধনী ব্যক্তি। কিন্তু নব্বই বছরেও সন্তানের মুখ না দেখার কারণে মনটা খারাপ ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর বংশ কিভাবে রক্ষা হবে, দ্বীনের খেদমত করবে কে? এই নিয়ে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলেন। মহান আল্লাহ দোয়া কবুল করলেন। বিবি হাজেরার কোল আলোকিত করে আসলো হযরত ইসমাঈল (আঃ)।
শিশু পুত্র ইসমাঈলের বয়স যখন আট বছর। একমাত্র ছেলেকে ইব্রাহীম (আঃ) অনেক আদর করেন, কোলে তুলে রাখেন। ফেরেস্তারা এসব দেখে আল্লাহকে বললেন-হে আল্লাহ এখন ইব্রাহীম (আঃ) আপনার চেয়ে ইসমাঈলকে বেশি ভালোবাসে। আর আল্লাহ বললেন-না। তোমরা কী দেখতে চাও? আমি তোমাদেরকে দেখিয়ে দিই? কিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে দেখিয়ে দিব। আমার ইব্রাহীম আমাকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
আল্লাহ পাক রাত্রে স্বপ্নের মাধ্যমে ইব্রাহীম (আঃ)-কে ডেকে বললেন, হে প্রিয় বন্ধু আমার নামে কোরবানী দাও। ভোরে উঠে ইব্রাহীম (আঃ) একশত দুম্বা কোরবানী করে দিলেন। দ্বিতীয় নিশিতে আবার ইব্রাহীম স্বপ্নে দেখলেন, আল্লাহ পাক ডেকে বললেন, হে ইব্রাহীম আমার নামে প্রিয় জিনিস কোরবানী দাও। প্রভাতকালে উঠে ইব্রাহীম (আঃ) চিন্তায় পড়ে গেলেন। আবার বাছা বাছা একশত গরু কোরবানী করে দিলেন। তৃতীয় নিশিতে তেমনি আবার স্বপ্নের মধ্যে আল্লাহ পাক ডেকে বললেন, হে ইব্রাহীম (আঃ) আমার নামে কোরবানী কর। ভোরে উঠে ইব্রাহীম (আঃ) কেঁদে কেঁদে বলেন, মাবুদ গো আমি কী অন্যায় করলাম, তুমি কেন আমার কোরবানী কবুল কর না। আবার বাছা বাছা একশত উট কোরবানী করে দিলেন। আবার তিনি পরের রাতে স্বপ্নে দেখেন আল্লাহ পাক ডেকে বললেন, বন্ধুরে! সবচেয়ে অধিক পেয়ারা যে জিনিস, প্রাণ হতে যে জিনিস প্রিয়জন তার কোরবানী করে আমার মন তুষ্ট কর।
ভোরে উঠে ইব্রাহীম (আঃ) কেঁদে মনে মনে ভাবেন। আমার সবচেয়ে প্রিয় একমাত্র বংশের উজ্জল বাতি পুত্র ইসমাঈল, তাকেই তো আমি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। তিনি বুঝলেন যে, আমার ইসমাঈলকেই তো মাওলায় কোরবানী করার হুকুম দিয়েছেন। ইব্রাহীম (আঃ) ভাবেন, বিবি হাজেরা এত কষ্ট করে যেই ছেলেকে লালন পালন করেছে, সেই ছেলের জবাইর কথা শুনলে ছেলেকে জড়ায়ে ধরে কাঁদবে। আমিতো আর এই ছেলেকে নিয়ে কোরবানী দিতে পারব না। তবুও হাজেরাকে বললেন, হাজেরা আমার ইসমাঈলকে গোসল করিয়ে আতর গোলাপ লাগিয়ে নতুন সাজে সাজিয়ে দাও। ছেলেকে নিয়ে দাওয়াতে যাব। হাজেরার খুশিতে মন ভরে গেল, ছেলে যাবে স্বামীর সঙ্গে বাদশাহর দাওয়াতে!
ইব্রাহীম (আঃ) হাতে একটা রশ্মি আর একটা ছুরি নিয়ে বললেন, বাবা চলো। মাওলায় আমাদেরকে দাওয়াত করেছেন। ইব্রাহীম (আঃ) পুত্র ইসমাঈলকে নিয়ে মিনা পাহাড়ের দিকে ছুটলেন। ইসমাঈল পিতার পিছনে পিছনে যায়। আর ঐ দিকে শয়তানের শরীরে আগুন ধরে যায়। সর্বনাশ। ইব্রাহীম (আঃ) যদি এই বিরাট পরীক্ষায় পাশ হয়ে যায়, তবে কোটি কোটি মানসুষের ঈমান মজবুত হয়ে যাবে। আমি আর ধোঁকা দিয়ে কাউকে কিছু করতে পারব না। কিভাবে ফিরানো যায়? এদিকে হাজেরা চিন্তা করে যে, গত তিন দিন যাবৎ এত দুম্বা, গরু, উট কোরবানী করলেন। আজ রশি আর ছুরি নিয়ে ছেলেকে নিয়ে মিনা পাহাড়ের দিকে কেন যাচ্ছেন? তবে কি ছেলেকে কোরবানী দিবেন নাকি? হাজেরা তাকিয়ে রইলেন। যখন চোখের আড়াল হয়ে গেল, তখন হাজেরা বললেন, আল্লাহ তোমার উপর ভরসা করলাম। তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নাই। এই সুযোগে ইবলিস এসে বলে-হাজেরা তোমার স্বামী তোমার ছেলেকে জবাই দিতে নিয়ে যাচ্ছে। তুমি এখনো দাঁড়িয়ে আছ? যদি বাঁচাতে চাও তাড়াতাড়ি দৌঁড় দাও। হাজেরা বলে বাপে কোন দিন ছেলেকে জবাই দিতে পারে নাকি? শয়তান বলে, তোমার স্বামীর মাথা খারাপ হয়েছে তাও কি তুমি দেখনা?
আজ তিন দিন যাবৎ দুম্বা/গরু, উট জবাই দেয় তাও কি দেখ না? তোমার স্বামী রশ্মি আর ছুরি নিয়ে গেছে তাও কী দেখনি? যতই বুঝায় হাজেরা বলে ইবলিস দূর হয়ে যা। নিশ্চয় আমার স্বামী কোন দরকার বশতঃ ছুরি আর রশ্মি নিয়েছে। শয়তান চিন্তা করল-আসল কথা না বললে হাজেরা বিশ^াস করবে না। তাই ইবলিস বলে, হে হাজেরা দৌড় দাও, দৌড় দাও, আল্লাহ পাকের হুকুম করেছে ইসমাঈকে কোরবানী করার জন্য। এই কথার সাথে সাথে হাজেরার বিশ^াস হয়ে গেছে, হ্যাঁ, ঠিকই তো আমার স্বামী বলেছে বাদশাহর দরবারে যাই। এ দেশেতো বাদশাহ নেই। আমার স্বামী মাওলার দাওয়াতেই গেছেন। আহারে! আমি তো তখন খেয়াল করিনি। আমার স্বামীর মুখ দেখেছি খুব ভার ভার। হাজেরা ডাক দিয়ে বলে, ইবলিস দূর হয়ে যা, দূর হয়ে যা। মাওলার যদি আমার সন্তানকে তার নামে কোরবানীর জন্য পছন্দ করে থাকেন, আমার কোন দাবী নেই।
হাজেরা দুই চোখে পানি ছেড়ে দিয়ে কাঁদেন আর বলেন, মাবুদ গো! তুমি আমার ইসমাঈলকে কবুল করে নাও। আহারে আগে যদি আমার স্বামী আমার কাছে বলতেন, আমি আমার ইসমাঈলকে একটু বুকে জড়ায়ে ধরে চুমু দিয়ে চির জীবনের জন্য বিদায় দিতাম। আমার স্বামী মনে হয় আমার কাছে ভয়েতে বলেনি। যাক মাবুদগো! আমার কোন দাবী নেই। তুমি আমার ইসমাঈলকে কবুল করে নাও। এর মধ্যে বাপ বেটা মিনা পাহাড়ে পৌঁছে গেছে। ইবলিস হাজেরার নিকট লজ্জা পেয়ে চিন্তা করে ইসমাঈল আট বছরের বালক, সে আল্লাহর মুহাব্বতেরই বা কি বুঝে? ভয়েরই বা কি বুঝে? দেখি তাকে ধোঁকা দিয়ে কিছু করা যায় কিনা।
শয়তান, ইসমাঈলকে গিয়ে বলল হে ইসমাঈল দৌড় দাও! দৌড় দাও! তোমার বাবা তোমাকে জবাই দিতে নিয়ে যাচ্ছে। যদি বাঁচতে চাও পালাও। ইসমাঈল বাবাকে ডেকে বলে, আব্বাজান, কে জানি বলে আপনি নাকি আমাকে জবাই দিতে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বললেন, বাবা এ হল শয়তান। পাথর মার ইসমাঈল (আঃ) পাথর মারলেন, এভাবে তিন জায়গায় ধোঁকা দিয়েছিল। তিনি তিন জায়গায় পাথর মারলেন। আল্লাহ পাক কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত হাজীদেরকে হুকুম দিয়ে দিলেন। হে হাজীগন আমার ইসমাঈল যেই জায়গাগুলিতে পাথর মেরেছে, তোমরা সেই জায়গাগুলিতে পাথর না মারলে আমি তোমাদের হজ¦ কবুল করব না, এখন ইব্রাহীম (আঃ) বলেন, হে আমার আদরের ছেলে ইসমাঈল! আল্লাহ পাকের হুকুম হয়েছে তোমাকে কোরবানী দেওয়ার জন্য! বাবা এখন তুমি বল-তোমার কি মত? ইসমাঈল তো আর দশটা ছেলের মত নন। তিনি নবীর সন্তান, ভাবী নবীর পূর্বসুরী, তাই এই ছেলে উত্তর দিলেন-হে আব্বাজান! আল্লাহ পাকের হুকুম হয়ে থাকলে আপনি মোটেই দেরী করবেন না। তাড়তাড়ি আমার গলায় ছুরি চালিয়ে দিন, নিশ্চয় আমাকে আপনি ধৈর্য্যশীলরূপে দেখতে পাবেন।
আল্লাহর বান্দার অভাব নেই তা সত্তে¡ও তিনি আমাকে চেয়েছেন। এটা আমার কত বড় সৌভাগ্য (সুবহানাল্লাহ)। নবীর আট বছরের সুযোগ্য ছেলে কেমন জবাব দিলেন? আল্লাহ পাক তাও কোরআন শরীফে জানিয়ে দিলেন। ইসমাঈল (আঃ) আরো বলেন-আব্বাজান আপনি যদি বাড়িতে থাকতে বলতেন, তাহলে আমি আম্মাকে সালাম দিয়ে চিরতরে তাঁর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসতাম। যাক আগে বলেন নাই, আমার কোন দাবী নেই। আমার তিনটি শর্ত আপনার পালন করতে হবে-প্রথম শর্তঃ আমাকে জবাই করার আগে আমার হাত পা গুলো শক্ত করে বেঁধে নিন। কেননা জবাইয়ের যন্ত্রণায় আমার হাত, পা, নড়া চড়া করে আপনার শরীরে লেগে বেয়াদবি হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয় শর্তঃ আমি আপনার একমাত্র সন্তান। জবাই করার সময় আমার মুখের দিকে যখন আপনার নজর পড়বে, তখন আপনার মনে মায়া লেগে হাত পা শীতল হয়ে যেত পারে। তাই আপনি চোখে কাপড় বেঁধে নিন। আমার মুখ খানাও কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন।
তৃতীয় শর্তঃ আমি জবাই হয়ে যাওয়ার পর আমার রক্ত মাখা জামা কাপড়গুলো আমার জনমদুখিনী মায়ের হাতে দিবেন, আমার মাকে আর মা বলে ডাকবার মত কেউ নেই। তাই রক্ত মাখা জামাকাপড় গুলো মায়ের হাতে দিয়ে বলবেন, হাজেরা তোমার ইসমাঈল আল্লাহর নামে কোরবানী হয়ে গেছে। তোমার কাছে সালাম বলেছে হাশরের দিন জান্নাতে যাওয়ার সময় তোমার সাথে দেখা করবে। তুমি কেঁদোনা! আব্বা জান! আমার আম্মা যদি কেঁদে কেটে অস্তির হয়ে যান, সেজন্য তাকে মারবেন না, বুঝাবেন যে, ছেলে আর দুনিয়াতে কয়দিন কাজে লাগবে। যদি আল্লহর হুকুম মেনে যাওয়া যায়, তাহলে এই ছেলে আখেরাতে কাজে লাগবে।
তারপর ইব্রাহীম (আঃ), ইসমাঈলের হাত ও পাগুলো বেঁধে দিলেন।
যখন ইসমাঈলকে জবাই করার জন্য উপুড় করে শোয়ায়ে নিজের চোখ বেঁধে ইব্রাহীম (আঃ) ছুরি হাতে নিলেন, তখন আসমান কাঁদে, জমিন কাঁদে, আরশ কুরসী কাঁদে, ফেরেশতারা কাঁদেন আর বলেন, আল্লাহ গো! হয়ে গেছে, হয়ে গেছে, আর পরীক্ষা করা লাগবে না। আল্লাহ পাক যদি তখন নিষেধ করে দেয়, দুনিয়ার কতগুলো শয়তানের দল বলতো, জবাই কিছু না একটা নাটক দেখেছেন। তাই আল্লাহ পাক একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ পাক গোপনে ছুরিকে হুকুম দিলেন, খবরদার আমার ইসমাঈলের একটা পশমও যেন না কাটে। ইব্রাহীম (আঃ) ছুরি হাতে নিয়ে বললেন, প্রভুগো! হে প্রভু, তোমার নামে পুত্র কোরবানী করতেছি, গ্রহণ কর। (বিসমিল্লহি আল্লাহু আকবার) বলে ইসমাঈলের গলায় ছুরি চালিয়ে দিলেন খুব জোরে, এত জোরে চালায় কিন্তু তার হিরার মতো ধার ছুরিতে ইসমাঈলের একটি পশমও কাটেনা ইব্রাহীম (আঃ) ছুরির ধার পরীক্ষা করার জন্য পাথরের উপর আঘাত করলেন, পাথর কেটে দুই টুকরা হয়ে গেল। সেই পাথর আজ পর্যন্ত সরকার হেফাজত করে রেখেছেন। ইব্রাহীম (আঃ) আবারো খুব জোরে জোরে ছুরি চালাইতে লাগলেন, ইসমাঈলের গলায়। এই দৃশ্য দেখে ফেরেশতারা সবাই হায় হুতাশ করে কাঁদতে লাগলেন এবং বলছেন-রাব্বুল আলামীন!
পিতা তোমাকে সন্তুষ্ট করার জন্য বৃদ্ধ বয়সে একমাত্র কলিজার টুকরা সন্তানের গলায় ছুরি চালাইতেছে। এই দৃশ্য আর দেখাইওনা। আর দেখতে পারি না। আল্লাহ পাক ডেকে বলেন-হে জিবরাইল, আমার ইব্রাহীম (আঃ)-তো চোখ বন্ধ করে নিয়েছে, হাতে রক্ত না লাগা পর্যন্ত ইসমাঈলকে ছাড়বে না, যাও ইসমাঈলকে সরিয়ে নিয়ে একটি বেহেশতী জানোয়ার ইব্রাহীমের ছুরির নিছে দিয়ে দাও। তখন জিব্রাঈল (আ) ইসমাঈলকে সরায়ে নিয়ে একটি দুম্বা শোয়ায়ে দিলেন। এবার জবাই হয়ে গেল, হাত দিয়ে দেখেন জপ জপ করে রক্ত পড়ছে, হাতে রক্ত লেগে গেছে, ইব্রাহীম (আঃ)-এর বিশ্বাস হয়ে গেল যে, আমার ইসমাঈল জবাই হয়ে গেছে। পাশের থেকে আওয়াজ আসলো: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লাই-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
ইব্রাহীম (আঃ) চোখ খুলে দেখেন, ইসমাঈল এক পাশে পরে আছে। আর কোথায় থেকে একটা অচেনা জানোয়ার জবাই হয়ে গেছে। ইব্রাহীম (আঃ) বলেলন, হে বাবা ইসমাঈল এসো, কিছুই বুঝতে পারলাম না। কোথায় থেকে একটা দুম্বা জবাই হয়ে গেল। আসো বাবা, তোমাকে জবাই দিতেই হবে। প্রভুগো! ও হে প্রভু! আমি তো পুত্রকেই কোরবানী করেছি, তুমি কোন অপরাধে তা গ্রহণ করলে না। আরশ হতে আল্লাহর বানী এসে গেলো, হে আমার প্রিয় বন্ধুরে! ও বন্ধু! চিনেছি তোমায় এই বারে। তোমার ধৈর্য আর ঈমান পরীক্ষা হয়ে গেছে। আজ থেকে তুমি আমার বন্ধু, খলিল। আল্লাহ পবিত্র কোরানে বলেন-এখন হয়ে গেছে, আর জবাই লাগবেনা। যাও হাজেরাকে বলে আসো, বাদশাহর দাওয়াতে যাইতেছ, বাদশাহর দাওয়াত হতে বেহেশত জানোয়ার নিয়ে যাও, সবাই মিলে খুশির সাথে ঈদ করে খাও, আর হাজেরাকে শান্ত কর। পুত্রকে তার কোলে তুলে দাও। সেই দিন যদি ইব্রাহীম (আঃ)-এর হাতে তাঁর পুত্র জবাই হয়ে যেত, তাহলে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের জন্য ওয়াজিব হয়ে যেতো প্রথম সন্তান কোরবানী করা।
আল্লাহ সবাইকে কোরবানীর প্রকৃত মাহত্ত ও ত্যাগ অনুধাবন করার জ্ঞান দান করুন। কোরবানীর ত্যাগকে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক জীবনে ধারণ করতে পারলে সমাজে কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটতো। কোরবানীর ত্যাগের বিনিময়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা চিন্তা না করে কে কতো বড় বা দামী পশু কোরবানী করতে পারলাম তা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। এটা একটা অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যা কোরবানীর মূল উদ্দেশ্যকে মারাত্মকভাবে বিঘিœত করে। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সবার জীবন, সেই প্রত্যাশায়।
লেখক: কবি ও কলামিস্ট,
বানিয়ানগর, সূত্রাপুর, ঢাকা।