খবর ডেস্কঃ- সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫নং উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের উৎমা এলাকা পাথর আর পর্যটনের জন্য সিলেটের মানুষের কাছে পরিচিত। এ এলাকায় রয়েছে উৎমা ছড়া ও তুরুং ছড়া। সেই উৎমা ছড়া পেরিয়ে যেতে হয় তুরুং ছড়ায়।
আর এই উৎমা ছড়ার ওপারে বসবাস করেন ৫ সহস্রাধিক মানুষ। যাদেরকে ছড়া পার হয়ে যেতে হয়। একসময় নৌকা ছিলো একমাত্র বাহন, যার মাধ্যমে ঐ পাড়ের মানুষদের বাড়ি যেতে হতো। ২০০৮ সালে এখানে ১০০ মিটার দৈর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণ হওয়ার পর মানুষ স্বপ্ন দেখে দুর্ভোগ কেটে যাওয়ার। কিন্তু, ব্রিজের দুই পাশে এপ্রোচ পাকা না থাকায়, স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।
এ এলাকায় বন্যার সময়ে পাহাড়ি ঢল নামে। যার কারণে আশেপাশের অনেক এলাকা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। এ কারণে ব্রিজটি অনেটা উঁচু করেই নির্মাণ করা হয়। প্রধান রাস্তা থেকে ব্রিজ অনেক উঁচু হওয়ায় গাড়ি চলাচলের উপযোগীর জন্য দুই পাশে প্রয়োজন পড়ে এপ্রোচের। কিন্তু এখানে এপ্রোচের বদলে বালু ব্যবহার করে ব্রিজটি ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করা হয় বার বার। এতে যাত্রীরা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে হাজারো মানুষ।
ব্রিজের দুই পাশে এপ্রোচ পাকা না থাকায় গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেকসময় গাড়ি উল্টে গিয়ে যাত্রীরা দূর্ঘটনার শিকার হন। এ এলাকার মানুষ সাধারণত সিএনজি আর মোটরসাইকেলে চলাচল করে। জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ী এবং পণ্যেবাহী গাড়ী লোকজন ধাক্কা দিয়ে ব্রীজের উপরে তুলতে হয়। কখনো কখনো তাও সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে গাড়ির মাল নামিয়ে গাড়িকে ব্রিজের উপরে তুলে পরে আবার ব্রীজের উপরে কাধে করে নিয়ে মাল গাড়ীতে তুলতে হয়।
এ এলাকার মানুষদের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন এ দূর্ভোগ মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে। দিন দিন ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাষ্টার ফয়জুর রহমান বলেন, এই ব্রিজ পেরিয়ে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে হয়। প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এই ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে যায়। দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সিএনজি, বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেলে চলাচল করতে হয়। কিন্তু, তাদের প্রতিনিয়তই সমস্যায় পড়তে হয় রাস্তা পার হতে। সাধারণ মানুষ ও গাড়ি করে যেতে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য এই ব্রিজের এপ্রোচের কাজটি দ্রুত সমাপ্ত করতে উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।