ডিসেম্বর ৯, ২০২০
৯:০৩ পূর্বাহ্ণ

এস কে সিনহার ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

খবর ডেক্সঃ- সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিনহার ভাই ও ভাতিজাকে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।পরোয়ানা জারিকৃতরা হলেন- এস কে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা ও ভাতিজা শঙ্খজিৎ সিনহা।মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুদকের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এর আগে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়। কিন্তু সমন পেয়েও তারা আদালতে হাজির হননি। এজন্য দুদকের পক্ষ থেকে তাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন৷ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ নির্দেশ। মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর দিন তারিখ রয়েছে।চার্জভিটভুক্ত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে চৌদ্দ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

গত ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার তদন্তের সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে নির্দেশনা দেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন।পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *