ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ- করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারি আদেশ অমান্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া গিন্নি দেবী আগরওয়াল মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ডেকে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার (১২ আগস্ট) এইচএসসি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলেজে ভীড় জমায়। উপবৃত্তি দিতে মেধা যাচাই করার জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।কলেজ সূত্রে জানা যায়, এবারের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুত করার জন্য মেধা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাই পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের নোটিশ দেয়া হয়। এ কারণে মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা ১০ আগস্ট, ব্যবসা শাখার শিক্ষার্থীরা ১১ আগস্ট ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা ১২ আগস্ট কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সারাদেশেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে করোনার জন্য বন্ধ সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কলেজে এসে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে পরে ঝামেলা হতে পারে এই কারণে নির্ধারিত সময়েই সংগ্রহ করে পরীক্ষা দিয়েছি। এছাড়া, পরীক্ষার ফি হিসেবে বিজ্ঞান শাখার জন্য সাতশো, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার জন্য পাঁচশো টাকা নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ বদরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মো. আলাউদ্দীন আল আজাদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নুর কুতুবুল আলম বলেন, যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।