অক্টোবর ৮, ২০২০
৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

করোনার কারণে অতি দারিদ্র্যের মুখে সাড়ে ১১কোটি মানুষ

খবর ডেস্কঃ- বিশ্বব্যাপী মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে টানা দুই দশকেরও বেশি সময় পরে বিশ্বে অতিদারিদ্র্যের মুখে পড়তে যাচ্ছে আরো সাড়ে ১১ কোটি মানুষ। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ১৫ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর থেকে অনেকটা সময় করোনার ক্ষত বয়ে বেড়াতে হবে বিশ্ব অর্থনীতিকে।

অন্যদিকে, মহামারীর মধ্যে বিশ্বে কোটিপতিদের অর্থ ১০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে মহামারীর সংকটে অনেক কোটিপতিই অর্থ দান করছেন।

মহামারী বিশ্বে ধনী গরীব বৈষম্যকে আরো বাড়িয়েছে। একদিকে যেমন বাড়ছে কোটিপতিদের অর্থের পরিমাণ, অন্যদিকে তেমনি বাড়ছে অতিদারিদ্র্য। সামনের কয়েকটা বছর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অনেকটাই বিপদজনক। নতুন করে অতিদারিদ্র্যের মুখে পড়তে যাচ্ছে সাড়ে ১১ কোটি মানুষ। এমনই ভয়াবহ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের পর অতিদারিদ্র্য এটাই সর্বোচ্চ।

সংস্থাটি বলছে, মহামারীর আগে আশা করা হয়েছিলো চলতি বছর ৮ শতাংশে নামতে পারে অতিদারিদ্র্য। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য বিষয়ক প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর ৯ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে অতিদারিদ্র্য। নতুন করে যারা দারিদ্র্যের মুখে পড়বে, এদের মধ্যে ৮২ শতাংশই মধ্য আয়ের দেশের মানুষ। বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বলছে, মহামারী আর মন্দায় চলতি বছর বিশ্বের প্রায় দেড় শতাংশ মানুষ অতিদারিদ্র্যের মুখোমুখি হবে।

বিশ্বব্যাংক ২০১৩ সাল থেকে কাজ করছে ২০৩০ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য মানুষ ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য। তবে সংস্থাটি বলছে, লক্ষ্য এখন নাগালের বাইরে চলে গেছে। প্রতিবেদন বলছে, নতুন করে যারা দারিদ্র্যের মুখে পড়বে, এদের মধ্যে ৮২ শতাংশই মধ্য আয়ের দেশের মানুষ। করোনার কারণে বিশ্বে দারিদ্র্য কমানোর চেষ্টা আরো ধীরগতি এসেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৫ কোটির ওপরে মানুষ দারিদ্র্য থেকে বের হয়েছে।

এদিকে, করোনা সংকটে এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে কোটিপতিদের অর্থের পরিমাণ। সুইস ব্যাংক বলছে, ২০১৭ সালে কোটিপতিদের অর্থ ৯ ট্রিলিয়ন ডলার ছিলো, এখন তা ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে পৌঁছেছে। বেড়েছে নতুন কোটিপতির সংখ্যাও। ২০১৭ সালে ২ হাজার ১শ’ ৫৮ জন কোটিপতি ছিলেন, ২০২০ সালে কোটিপতির সংখ্যা ২ হাজার ১শ’ ৮৯।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *