খবর ডেস্কঃ- কোভিড-১৯ এর টিকা যেন আগে পাওয়া যায়, সরকার সেই চেষ্টা করছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন। তবে এই দাবির সঙ্গে বাস্তবে মিল নেই। টিকা পাওয়ার জন্য যেসব প্রস্তুতি দরকার সেই প্রস্তুতি এখনো নিতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো।
এ বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান গণমাধ্যমকে বলেন, টিকা আসার আগে অনেক কাজ করতে হবে। বিশেষ করে একটা বেজলাইন সার্ভে করা দরকার। যাতে বোঝা যায় ঠিক কতসংখ্যক মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, কতজন মানুষের টিকা দরকার। কারণ দেখা গেছে, যাদের মৃদু সংক্রমণ হয়েছে তাদের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা কাদের টিকা দেব, সেটিও ঠিক করতে হবে। যদি দেশের ২০ ভাগ মানুষের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়, তাহলে আরও প্রায় ১৪ কোটি মানুষের জন্য টিকা প্রয়োজন হবে।
তবে করোনার টিকা পাওয়া নিয়ে অগ্রগতি না থাকলেও টিকা পেলে সেই টিকা কীভাবে বণ্টন হবে তা জানিয়েছেন। মোট তিনটি ভাগে করোনার টিকা বণ্ট করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সবার জন্য একবারে টিকা পাওয়া যাবে না। পাওয়ার পর প্রথমে দেয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের, তারপর বয়স্কদের, তারপর সবার জন্য।
টিকাও ধাপে ধাপে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ধাপে ধাপে টিকা আসবে, সেভাবেই সারা দেশের সব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি তাকে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। সিদ্ধান্ত জানালেই আমরা কাজ শুরু করব। এটা নিয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা চলছে।