আত্মবিশ্বাসই সফলতার প্রথম সোপান, কর্ম তার সিঁড়ি আর সততা মহাগুণ, পদোন্নতি তার পুরস্কার! সবাই শুধু ফল দেখতেই অভ্যস্ত। অথচ ফলটা ফলানোর পেছনের ইতিহাস খুব কমই জানা থাকে মানুষের।
অন্যরা পারেন আমি পারবো না কেন ?
এটাই আত্মবিশ্বাস।
আগামীকাল সকালের গতি যেমন আজ জানেন না, তেমনি অদূর ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও জানা নেই।
নিশ্চিত থাকতে পারেন- যদি আপনার শতভাগ উজাড় করে দিতে পারেন তবেই আপনি সফলকাম।
আর সফলতা আপনাকে স্বাগতম জানাবেই। তবুও ফল নিয়ে ভয় করে তাই না? ওটা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দিন। ভবিষ্যৎকে ছুঁতে পারবেন না। কিন্তু আজকের বর্তমানকে ফাঁকি দিয়ে ভবিষ্যতের কল্পনাও নিশ্চিত দুরাশার।
মনে রাখতে হবে—কঠোর অধ্যবসায় যেমন ছাত্রজীবনের সফলতা, ঠিক তেমনি বর্তমানের শ্রম ও সততার উপরই কর্মজীবনের সুন্দর ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে। আর এসবের সংমিশ্রণে আজকের সফলতার ভিত্তিটা শক্ত করেছেন উত্তর সিলেটের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান
“আল-হেরা একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, শিবের বাজার সিলেট’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মো. ফখর উদ্দিন স্যার। তাঁর কর্ম দক্ষতা, সততা আর আত্মবিশ্বাস আজ পদোন্নতিতে রূপান্তর হয়ে, নিয়ে গেছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ” শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর (অর্থ ও হিসাব) পদে। ফুলওয়ালী যেমন ফুল চিনতে ভুল করে না তেমনি “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” কর্তৃপক্ষ রত্ন চিনতে একদম ভুল করেননি।
স্বামী বিবেকানন্দ বলেন-
“একটি লক্ষ্য ঠিক করো। সেই লক্ষ্যকে নিজের জীবনের অংশ্ বানিয়ে ফেলো। চিন্তা করো, স্বপ্ন দেখো। তোমার মস্তিষ্ক, পেশী, রক্তনালী – পুরো শরীরে সেই লক্ষ্যকে ছড়িয়ে দাও, আর বাকি সবকিছু ভুলে যাও। এটাই সাফল্যের পথ।” আর সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন মো. ফখর উদ্দিন স্যার।
অভিনন্দন শ্রদ্ধেয় প্রিয় স্যার। আপনার এমন সফলতা আর পদোন্নতি আমাদেরকে শুধু গর্বিত করেনি, ধন্যও করেছে। শুধু কি তাই? কর্মজীবনে বর্তমান সময়ের উত্তর সিলেটের হাতে গোনা কয়েকজন সফলকাম ব্যক্তিদের অন্যতম একজন মো. ফখর উদ্দিন স্যার। তাঁর অমায়িক আচরণ, মুক্ত চিন্তা আর মিশুক স্বভাব যে কারো হৃদয়ে স্থান করে নেয়ার মতো। তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও স্পষ্টভাষী।
মো. ফখর উদ্দিন, উত্তর সিলেটের ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের বড়ফৌদ গ্রামে ১০ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে
মো: আছদ্দর আলী ও খুশিদুন নেছার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮০ সালে স্থানীয় শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি শিক্ষা সমাপন ও পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভ করেন । ১৯৮৬ সালে উমাইরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে লেটারসহ ১ম বিভাগে এস.এস.সি-তে কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হন। এটিই উমাইরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেষ্ঠ অর্জন( ১ম বিভাগ)। ১৯৮৮ সালে ২য় বিভাগে মদনমোহন কলেজ থেকে বাণিজ্য শাখায় এইচ.এস.সি পাশ করেন। ১৯৯০ সালে একই কলেজ থেকে ২য় শ্রেণিতে বি.কম(পাস) উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২য় শ্রেণিতে ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে এল.এল.বি ডিগ্রিতে শিক্ষার্জন আরও সুপ্রসারিত হয়।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে চাকরিতে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে” অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) পদোন্নতি পেয়ে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এমন কি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ইতোমধ্যে অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।
শিক্ষানুরাগী আর উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাঁর সামাজিক কর্মকান্ডে। এলাকার শিক্ষা বিস্তারে স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালনসহ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত এবং এক নাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। আর্তপীড়িত মানবতার সেবায় উজাড় করে দিচ্ছেন নিজেকে। পারিবারিক উদ্যোগে “আব্দুল মালিক তালুকদার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট” নামে একটি সমাজসেবামূলক সংস্থাও গড়ে তুলেছেন।
এমন মানবিক গুণাবলি, সততা আর কর্মদক্ষতা যিনি লালন করে যাচ্ছেন তিনি তো সফলকাম হবেনই । তাই তো ফল পেয়েছেন, সফল হয়েছেন আমাদেরকে গর্বিত করেছেন, ধন্য করেছেন।
বিখ্যাত মনিষী ব্রুস লী বলেন-
“একজন সফল যোদ্ধা হলো একজন সাধারণ মানুষ, যে অন্যদের চেয়ে বেশি মনোযোগী।”
আমরা জানি —
সারাদিন হাসনাহেনার পাপড়ি নিয়ে ঘষামাজা করলেও হাসনাহেনা একটু ঘ্রাণ দিয়ে আমাদের বিমোহিত করে না। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে যখন ঘ্রাণ বিলাতে থাকে তখন আর সে ঘ্রাণ গ্লাসেও বন্দী করে আটকানো কিংবা লুকিয়ে রাখাও যায় না! মো. ফখর উদ্দিন স্যারও ছড়িয়ে দেয়া সেই ঘ্রাণ, আমাদের হাসনাহেনা! ফুটন্ত গোলাপ। আঁধার ঠেঁলে ভোরের ঊষারে আলোর মিছিলের বাহক।
মানুষের চিন্তা চেতনা সম্পর্কে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন— ‘তুমি নিজের জন্য যেটা ভালো মনে করবে, অন্যের জন্যও তা ভাববে। আর যেটা নিজের জন্য মন্দ মনে করবে, অন্যের জন্যও তাই মনে করবে।
-(সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
আর সেটাকে লালন করেই তিনি নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন ব্যক্তি, সামাজিক, কর্মজীবন সর্বত্রই। মানবিকতায় অগ্রযাত্রার এক মূর্তপ্রতিক মো. ফখর উদ্দিন স্যার।
আমাদের প্রত্যাশা আরও সুপ্রসারিত। এখানেই সীমাবদ্ধ নয়! সুন্দর সুগম হোক আগামীর পথচলা! সফলতার চুড়ান্ত আসনে অধিষ্ঠিত হোক কর্মজীবনের পদযাত্রা। তিনি আমাদের ভালোবাসা, সমাজের গর্ব, এলাকার অহংকার।
কবির মাহমুদ
সহকারী শিক্ষক, আল-হেরা একাডেমি, স্কুল এন্ড কলেজ, শিবের বাজার, সিলেট।