সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
২:০১ অপরাহ্ণ

কারোনার সাথে এবার সর্দি জ্বরের হানা

খবর ডেস্কঃ- করোনা মহামারীর শুরুর দিকে সামান্য জ্বর কিংবা সর্দি-কাশি হলেই উৎকণ্ঠিত মানুষ ছুটছিলেন চিকিৎসার জন্য। তখন পরীক্ষা করে অনেকের শরীরেই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব না মেলায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক একটু কমেছিল। যদিও তখনো ব্যাপক হারে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় সাবধানতা ছিল সবার মধ্যে। ফলে মাঝের সময়টাতে সাধারণ ফ্লু বা জ্বর সর্দি-কাশির প্রকোপ যেন একটু কমে আসে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মানুুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে গাছাড়া মনোভাব। কিন্তু এখন ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবারও ঘরে ঘরে বেড়েছে সর্দিজ্বর শ্বাসতন্ত্রের রোগী। শিশু, নারী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষই এখন সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে এ নিয়ে আবারও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে করোনার সংক্রমণও।

জানা গেছে, এখন প্রতিদিনই লাখ লাখ মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও টেলিমেডিসিন সেবা নিচ্ছেন। সর্দিজ্বরের রোগীর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণও একটু বেশি হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের আগেও সর্দিজ্বর নিয়ে মানুষকে এত বেশি আতঙ্কিত হতে দেখা যায়নি। সাধারণভাবেই শীতের সময় মানুষ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, টনসিল, বাতব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকের। আবার ঋতু পরিবর্তনের সময়ও এ ধরনের রোগব্যাধীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে গ্রীষ্মকালে এ ধরনের রোগী বেশি হয় না। কিন্তু এখন অনেক মানুষ সর্দিজ্বরসহ শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, ‘ভ্যাপসা গরম, রোদ বৃষ্টির কারণে কিছুদিন ধরে সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের রোগী বেড়েছে। বর্তমানে হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারগুলোতে এই ধরনের রোগী বেশি আসছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাসার সিকদার জানান, তাদের আউটডোরে প্রতিদিন দেড় হাজারের মতো রোগী আসে। এর মধ্যে ৪০০ থেকে ৫০০ হচ্ছে মেডিসিনের রোগী। বর্তমানে এ রোগীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সর্দি, জ্বর ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *