আজকের খবরঃ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে সকল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন” শীর্ষক আলোচনাসভা ও পুরষ্কার বিতরনীর আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্যের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামীম আহমদ শামীম। উপজেলা পরিষদের সিএ ফাইজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন রেনু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ এরশাদ মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা বেগম, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, অকিল চন্দ্র বিশ্বাস, ইয়াকুব আলী, এম সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরীফুল আলম, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার চাঁন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, মতিলাল মোহন্ত, সাংবাদিক আবুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান, সাংবাদিক সোহেল রানা, কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কার্যক্রম। সকাল ৬.৩০ মিনিটে শহীদদের স্মরনে উপজেলা পরিষদে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা বিএনপি, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, তাতীলীগ, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাব, কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব, পূজা উদযাপন পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৮টায় পরিষদ মাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জোহরের পর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।