বৃথা গেলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আরেক ম্যাচে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অলিম্পিক লিঁও। জুভেন্টাস ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও, প্রথম লেগে ফরাসি ক্লাবটি জিতেছিলো ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ ২-২ গোলের সমতায় থাকলেও, তুরিনে এসে স্কোর করার সুবাদে শীর্ষ আটে নাম লিখায় লিঁও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য খুব একটা জটিল সমীকরণে ছিলো না জুভেন্টাসের। কিন্তু তারা চাপে ছিলো প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে হারের জন্য। অ্যালিয়েঞ্জ স্টেডিয়ামে লিও’র বিপক্ষে কোন গোল হজম না করে অন্তত ২-০ ব্যবধানে জিতলেই মিলবে শীর্ষ আটের টিকিট। এমন মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামে বিয়াঙ্কোনেরিরা।
তবে ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটেই বদলে যায় সব হিসেব। লিঁও মিডফিল্ডার হওসিম অ্যাওয়ার ফাউলের শিকার হন প্রতিপক্ষের ডি বক্সে। স্পট কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। এমন সুযোগ হাতে পেয়ে লুফে নেয় ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি। মেমফিস ডিপেই ঠাণ্ডা মাথায় স্কোর করে সম্ভাবনা বাড়ান পরবর্তী রাউন্ডের।
শুরুতেই আচমকা লিড পেয়ে কৌশল বদলায় লিঁও। রক্ষণে ঘাপটি মেরে থাকে তাদের ডিফেন্ডাররা। ফলে স্কোরলাইন ওপেন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে য়্যুভেন্তাসের জন্য। ঘড়ির কাটায় পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলে ম্যাচ। অবশেষে স্বাগতিকদের স্বস্তির উপলক্ষ আসে ৪৩ মিনিটে। ম্যাচের প্রথম দিকে যেভাবে গোল হজম করেছিলো তারা, রোনালদো তারই শোধ নেন ঠাণ্ডা মাথায়।
প্রথমার্ধ পেরিয়ে ম্যাচ গড়িয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। স্কোরলাইনে সমতা। পরে ম্যাচের ৬০ মিনিটে দারুণ এক গোল করে যুভদের এগিয়ে নেন তিনি। ম্যাচে বাকি তখনও ঢের সময়। কোয়ার্টার ফাইনালের টিমটিমে বাতিটা তাদের আবারো জ্বলতে শুরু করে উজ্জ্বল শিখায়।
তবে এই ছন্দটা আর ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৭৬ মিনিটে কেবল মাত্র একটি সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয় দিবালা। তবে তা যথেষ্ট ছিলো না স্কোরিংয়ের জন্য। বাকি সময়টায় বোতলবন্দি হয়ে ছিলেন রোনালদো। এরপরই রেফারির লম্বা বাঁশি। হতাশায় মুষড়ে পড়ে জুভেন্টাস ফুটবলাররা। বিপরীতে হেরেও জয়ের উদযাপনে মাঠ ছাড়ে লিঁও।