ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
৫:০৬ অপরাহ্ণ

গরু পাচার: চার বিএসএফ কর্তাকে ডাকল সিবিআই

খবর ডেক্সঃ- পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে গরুপাচার নিয়ে চার বিএসএফ কর্তাকে জেরা করবে সিবিআই। জেরা হবে কলকাতায়। বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনিভাবে গরু পাচারের সঙ্গে যে একাধিক বিএসএফ ও কাস্টমস কর্মী জড়িত তা এফআইআর করে আগেই জানিয়েছিল সিবিআই। এ বার তারা বিএসএফের চার কর্তাকে জেরা করবে। চারজনকেই তলব করা হয়েছে। তাঁদের কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসে আসতে বলা হয়েছে। বিএসএফ কর্তাদের মধ্যে আছেন একজন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার এবং দুই জন কম্যান্ডান্ট।

এর আগে বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। তাঁকে জেরা করে গরু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আরো অফিসার ও কর্মীর নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই এই চারজনকে জেরা করবে সিবিআই। তাঁদের কাছ থেকে আরো তথ্য জানতে চাইবে তাঁরা। কীভাবে গরু পাচার হতো, কীভাবে কাস্টমস ও বিএসএফ কর্মীরা তার সঙ্গে জড়িত ছিল, তার কিছুটা বিবরণ এফআইআরে দিয়েছে সিবিআই। এ বার সিবিআই অফিসাররা বিষয়টির আরো গভীরে যেতে চাইছেন। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তার খোঁজ চলছে। পুরো চক্রের হদিশ পেতে চাইছে সিবিআই।

গরু পাচার চক্রের মূল পান্ডা এনামুল হক এখন জেল হেফাজতে। সিবিআই আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে তিনি জামিন পান। তাঁকে জেরার জন্য ডেকেছিল সিবিআই। কিন্তু করোনাকে ঢাল করে এনামুল আসেননি। পরে আসানসোলের সিবিআই আদালতে এনামুল আত্মসমর্পণ করেন।

সিবিআই এর এফআইআরে বলা হয়েছে, বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কম্যান্ডান্ট ছিলেন সতীশ কুমার। ২০১৫ থেকে ১৭ তিনি মালদহে ছিলেন। তাঁর অধীনে বিএসএফের দুই কোম্পানি মালদহে এবং দুই কোম্পানি মুর্শিদাবাদে মোতায়েন ছিল। তারা ২০ হাজার গরু ধরেছিল। কিন্তু সতীশ কুমার ও অন্য বিএসএফ ও কাস্টমস অফিসারদের সঙ্গে এনামুল হক, আনারুস শেখ, গুলাম মুস্তাফার মতো গরু পাচারকারীদের যোগসাজশ ছিল। তাঁরা সিজার লিস্টে গরুগুলিকে দুর্বল ও বাছুর বলে দেখাত। তারপর কম দামে নিলাম করত।

ওই গরুপাচারকারীরা সেই গরু কিনে নিত। তারপর সেই গরু চলে যেত বাংলাদেশে। এনামূল হক বিএসএফকে গরুপিছু পাঁচ হাজার টাকা ও কাস্টমসকে ৫০০ টাকা দিত। ফলে এ ভাবে বিএসএফ ও কাস্টমসের গরু পাচারের সঙ্গে জড়িতরা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *