খবর ডেক্সঃ- সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকার ধানক্ষেত থেকে রাসেল (২০) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (১৬-১০-২০২০) সকালে উপজেলার জাফলং এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর এলাকার বেতগড়া এলাকার সবুর আলীর ছেলে। সে ২০ দিন আগে জাফলংয়ে কাজের উদ্দেশ্যে আসে।
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার মৃত শানুর মিয়ার পুত্র মেহেদী হাসান (২৫), একই উপজেলার আব্দুল জালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (৩০), মো রইচ উদ্দিনের ছেলে সুলেমান মিয়া (৩৫), তরং এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে নজির হোসেন (২৮), এবং একই এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে শাহিদুল ইসলাম (২৬)।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে কাজ শেষে রাসেল বাজারে এসে টেলিভিশন দেখতে যায়। এসময় তার সাথে থাকা ৫ জন ব্যক্তি জাফলংয়ের একটি ধান ক্ষেতে পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এরপর বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ থেকে রাসেল নিখোঁজ রয়েছে মর্মে গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে রাসেলের বাবা। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ জাফলংয়ের একটি ধানক্ষেত থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পরে তাৎক্ষণিক গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদসহ পুলিশের একটি টিম এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মেহেদি হাছানকে আটক করে।
তার দেওয়া তথ্যমতে বাকি ৪ জনকেও আটক করে পুলিশ।
তবে, পূর্ব শত্রুতার জেরে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ এ ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার রাতে রাসেল বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফিরে না আসায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট থানায় নিখোঁজ আছে মর্মে একটি জিডি করেন। এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ রাসেলের সন্ধান করতে গিয়ে শুক্রবার জাফলংয়ের একটি ধান ক্ষেতে রাসেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তাৎক্ষণিক পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা প্রাথমিকভাবে এ হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পিতা সবুর আলী বাদি হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা দ্বায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানাযায়।