খবর ডেস্কঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ১২৮৬ পিলার এলাকা হতে ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির বিএসএফ লকর নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশি ৮০টি নৌকা ভর্তি মটরশুটি আটক করে। যাহার আনুমানিক মূল্য ৭০লক্ষ টাকা।
এলাকাবাসী সূত্রে যানাযায়, চোরাকারবারীরা দীর্ঘ দিন হতে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ হতে ভারতে মটরশুটি পাচার করে আসছে। বিএসএফ বার বার সর্তক করে দেওয়ার পরও চোরাকারবারীরা দেদারছে ভারতে মটরশুটি পাচার করছে।
অপরদিকে মটরের বিপরীতে ভারত হতে মাদক জাতীয় পণ্যসহ ভারতীয় গরু, মহিষ, কসমেট্রিক্স, মোবাইল সামগ্রী বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।
৮ ডিসেম্বর ভোর রাতে (সকাল সাড়ে ৬টায়) ১২৮৬ পিলার এলাকায় বাংলাদেশের আসামপাড়া ও ভারতীয় লকর নামক স্থানে প্রায় ২শতাধিক বিএসএফ সদস্য অতর্কীত ভাবে অভিযান পরিচালনা করে মটরশুটি বোঝাই ৮০টি নৌকা ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ এর অতর্কীত অভিযানে কোন বাংলাদেশী শ্রমিক আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা জানান, বিএসএফ বার বার বাঁধা দিয়েছে কিন্তু চোরাকারবারীরা বাঁধা উপেক্ষা করে আমাদের দিয়ে ভারতে মটরশুটি বোঝাই নৌকা প্রবেশ করায়। আমরা কোন মতে প্রাণে রক্ষা পেলেও মটরশুটি বোঝাই নৌকা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। নৌকা ও মটরশুটি আনুমানিক মূল্য ৭০লক্ষ টাকা হবে। তবে এটি সীমান্ত এলাকায় এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় অভিযান করেছে বিএসএফ। অভিযানের পর হতে ১২৮৬, ১২৮৭, ১২৮৮, ১২৮৯, ১২৯০, ১২৯১ ও ১২৯২ আন্তর্জাতীক পিলার এলাকায় অতিরিক্ত শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিএসএফ।
এবিষয়ে জানতে ৪৮ বিজিবি’র ডিবিরহাওর বিশেষ ক্যাম্প জানায়, আমাদের ক্যাম্প এলাকার আওতায় কোন প্রকার চোরাকারবার হচ্ছে না। চোরাকারবার রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিএসএফ যে স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে (১২৮৬ পিলার আওতাভূক্ত) সে এলাকাটি ১৯ বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।
এবিষয়ে জানতে ১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর ক্যাম্পের কমান্ডার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, লোক মুখে বিএসএফ’র অভিযানে নৌকা বুঝাই মটরশুটি আটকের কথা শুনেছি। সটিক কিছু আমাদের জানানেই, এমনকি এবিষয়ে কেউ আমাদেরকে কিছু বলেনি।
