ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালেই বুঝতে পারছি। প্রতিদিনেই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে হাজারো মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছে অগণিত। এখনো অসতর্কভাবে চলছে ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রামের বাজারের কার্যক্রম। বিশ্বের প্রায় ২শতের বেশি দেশে ছড়িয়ে গেছে এ মহামারি। এ থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও কিন্তু সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সনাক্তের হওয়ার পরো। প্রয়োজন ছাড়াই গ্রামের বাজার গুলোতে চা-সিগারেটের দোকানে আড্ডায় তাদের অবাদ বিচরণ করার পরোও পরছেন না মাস্ক, মানছেন না প্রয়োজনীয় বিধি-নিষেধ। এমন অবস্থায় পরিস্থিত সামাল দেবে কে? ভাবতে গেলেই দম বন্ধ হয়ে আসে। শহরের মানুষ কিছুটা সচেতন হলেও গ্রামের মানুষ এখনো অসচেতন। করোনা ভাইরাস নিয়ে যেন তাদের মাথাব্যথা নেই। যেহেতু গ্রামাঞ্চলে খুব বেশি করোনা প্রভাব এখনো বিস্তার হয় নি সেহেতু এখনই সঠিক সময় এই বৃহৎ অংশের জনগোষ্ঠী কে সুস্থ ও নিরাপদ রাখার।কিন্তু গ্রামের মানুষের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে করোনাভাইসার শুধু শহরের রোগ। এটা গ্রামের দিকে আসবে না। গ্রামের মানুষকে আক্রান্ত করবে না।এখনো জেলার গ্রাম অঞ্চলের বাজার গুলো ঘুরলে মনে হয় না যে করোনা নামে কোনো ভাইরাস পৃথিবীতে আছে। এখানো হাট – বাজার, রাস্তার পাশের দোকান গুলো আগের মতই চলছে।ছেলেগুলো আগের মতই খেলাধুলায় মেতে উঠেছে । দল বেধে এখনও সকলে চলাফেরা করছে।সৃষ্টিকর্তা না করুক, গ্রামে কোনো প্রকারে যদি করোনার মহামারি দেখা দেয়,তাহলে কি হবে আমাদের এই গ্রামের সহজ – সরল মানুষদের?সচেতন মহলের মতে- সারাদেশের মত এ জেলাও সরকারী নিয়মনীতি মেনে চলাটাও বর্তমান সময়ে খুবই জরুরী। অতি দ্রুত যেন ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জের বাজার গুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জুলাই ১১, ২০২০
১:৫৫ অপরাহ্ণ