জুলাই ২৯, ২০২০
২:৫৫ অপরাহ্ণ

ঠাকুরগাঁওয়ে ফ্রিজিয়ান গরুর দাম দশ লক্ষ টাকা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ- সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট বসলেই গরুর আকার, ওজন ও দাম নিয়ে চলে নানা আলোচনা। তেমনি ঠাকুরগাঁওয়ে এবার একটি গরুর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৯ ফুট এবং ওজন প্রায় এক টন। আর এ ষাঁড়টির মালিক ঠাকুরগাঁও পৌরএলাকার নিশ্চিন্তপুরের মাসুমা খানম। এই র‌্যাম্বো’র ষাঁড়ের ‘ দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

বুধবার (২৯ জুলাই) মাসুমা খানমের খামারে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, এই ষাঁড় দেখতে প্রতিদিনই তার খামারে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।আর“শখের বসে ২০১৩ সালে ৪৫ হাজার টাকায় কেনা ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী দিয়ে ছোট্ট একটি গরুর খামার শুরু করি। ২০১৬ সালে একটি ও ২০১৭ সালে একটি ষাঁড় বাছুর হয় ওই গাভীর। এরপর গাভীটিকে বিক্রি করে দিই। বর্তমানে খামারে ছয়টি গাভী ও ছয়টি ষাঁড় গরু রয়েছে।”এই খামারে সব থেকে বড় ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির নাম রাখা হয় ‘জন র‌্যাম্বো’। সাদার উপর কয়েক জায়গায় কালো রং রয়েছে।  ষাঁড়টিকে নিয়মিত দুইবার খৈল, গম, ভুট্টা, বুট, ছোলার ভুষি, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুড়া খাওয়ানো হয়। এতে মোট ৪০ থেকে ৪৫ কেজি খাবার পায় গরুটি’।

২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ‘জন র‌্যাম্বো’ লালন-পালন করতে খামারি মাসুমা খানমের প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ষাঁড়টি বিক্রি নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এছাড়াও তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস ও ভাইরাসজনিত ‘লাম্পি স্কিন’ রোগের কারণে পাইকাররা ষাঁড়টির দাম অনেক কম বলছেন। তিনি ষাঁড়টির দাম ১০ লাখ চেয়েছেন জানিয়ে বলেন, তবে এর কিছু কম হলেও বিক্রি করবেন।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে মাসুমা খানমের খামারে এই ষাঁড়টি দেখতে আসা সফিকুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন সময় হাট-বাজারে যাওয়া হয়। এছাড়াও এলাকায় প্রচুর গরু রয়েছে। তবে এত বড় গরু কখনও দেখিনি।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন বলেন, মাসুমা খানম একজন সফল উদ্যোক্তা। প্রত্যেক বছর তার খামার থেকে বড় বড় গরু বিক্রি করা হয়। তবে এবার সব থেকে বড় গরু জন র‌্যাম্বো। এটির ওজন এক হাজার কেজি।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *