জুলাই ২৭, ২০২১
৪:৫৮ অপরাহ্ণ
তিতাসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গচুর মামলার আসামী পেলো ছাত্রলীগের পদ

তিতাসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গচুর মামলার আসামী পেলো ছাত্রলীগের পদ

তিতাস প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাসে জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ছবি ভাঙচুরের মামলার আসামি কী ভাবে পেলো উপজেলা ছাত্র লীগের পদ! কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির বলেন, তিতাস উপজেলা ছাত্র লীগের ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ছবি ভাঙচুরের মামলার আসামিকে পদ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় তারা গ্রেপ্তার হয়ে হাজতও খেটেছিলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ছবি ভাঙচুরের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২২ জুলাই শনিবার কুমিল্লার দৈনিক ডাকপ্রতিদিন ও বাংলার আলোড়ন এবং ২৫ জুলাই মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই ডকুমেন্ট গুলো বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.পারভেজ হোসেন সরকার বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যখন সারাদেশে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠন এবং বিলুপ্ত করা নিষেধ, সেখানে ঈদের পরদিন করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে গোপনে কমিটি ঘোষণা কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই! আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,অবৈধভাবে ঘোষিত এই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে কুমিল্লা উত্তরের মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল কমিটিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঢেলে সাজানোর জন্য।

সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সাদ্দাম বলেন, উপজেলা ছাত্র লীগের ঘোষিত আংশিক কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান তুষারের বাবা আব্দুল কাসেম মেম্বার ৩ নং বলরামপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবং জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক বহিস্কৃত খায়রুল হাসান রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তার বাড়ী হোমনা উপজেলার নিলুখি গ্রামে। ছয় মাস আগে পাশের মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হলেও এখন পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা হয়নি। আমাদের এখানে কি এমন হয়েছে যে কোন রকমের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কমিটি করে দিয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের এই অনৈতিক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করার দাবী জানাচ্ছি। তা না হলে লকডাউনের পর কঠোর আন্দোলনে নামবে তিতাস উপজেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু কাউসার অনিক বলেন, কমিটি করার প্রক্রিয়া দু’টি,একটি হলো সম্মেলনের মাধ্যমে,অন্যটি সম্মেলন ছাড়া। সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্টানিকতা হলো লোক দেখানো।তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মৌখিক নির্দেশে প্রথম অধিবেশন ছাড়াই দ্বিতীয় অধিবেশন করেছি। এখন কারো কোন অভিযোগ থাকলে কেন্দ্রে করুক। অন্য উপজেলার বহিস্কৃত লোককে পদায়ন করার প্রশ্নে তিনি বলেন, কে কোন উপজেলার সেটা বড় বিষয় নয়, সংগঠনে অবদান আছে কিনা যাচাই করে এলাকার গ্রহনযোগ্যাকে প্রধান্য দিয়েই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর খায়রুল খন্দকার রুবেলের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *