কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আল-আমিন (২২) ও আরিফুল(২৭) নামে দুই যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে মর্মে হোতা হেলালসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় মামলা করা হয়েছে। ০৬/০৮/২০২১ ইং রাতে আহত আল-আমিনের মামাতো ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।যাহা তিতাস থানার মামলা নং-৪ তারিখ- ০৬/০৮/২০২১ ইং।বাদির দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামনীয় আসামীরা হলেন- উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের কালাচন্দকান্দি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র হেলাল উদ্দিন( ৩৫),হেরন মিয়ার পুত্র মো.দিকু (২২),মো.ইরণ মিয়ার পুত্র মো. বশির (২৭), হযরত আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী (৩২),হারুন মিয়ার পুত্র মো. আনোয়ার (৩০), হাড়াইকান্দি গ্রামের আলমগীরের পুত্র খায়রুল (২২),আলমগীরের পুত্র মো. শাওন (২৪),কালাচান্দকান্দি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার পুত্র হেরন মিয়া (৫৩),সহদোর ভাই ইরন মিয়া (৫১),ইরন মিয়ার পুত্র রমজান (২১) ও হেরণ মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম(২৪)সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪/৫ জন।
উল্লেখ্য,গত বুধবার রাত আনুমানিক ৭ টার দিকে আহত আরিফুল ও আল-আমিনসহ ৩০/৪০ জন যুবক পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর বটতলী মাঠ থেকে ফুটবল খেলা শেষে পিকআপ যোগে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের খানেবাড়ি গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছলে কালাচান্দকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা এবং সংঘবদ্ধ দলটি বাদী আরিফুল ও আল-আমিনের গতিরোধ করে ।এ সময় আল-আমিন আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে উত্তর মানিকনগর এরশাদ মিয়ার বাড়িতে পৌঁছলে তারাও পিছু ছুটে এবং ওই খানেই সংঘবদ্ধ দলটি আরিফুল ও আল-আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।দক্ষিণ মানিক নগর গ্রামের মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,আমরা কাউকে চিনিনা,দেখলাম ২০/৩০ জন ছেলে জাহাপুর বটতলী মাঠ থেকে ফুটবল খেলা দেখে পিকআপ ভ্যানে করে খানে বাড়ী গোবিন্দপুর স্কুলের সামনে এসে গাড়িটি থামলে গাড়িতে থাকা সবাই নেমে এদিক সেদিক দৌড়ে চলে যায় ।শুধু দুইজনকে কয়েকজন লোক দৌড়াইয়া উত্তর দিকে নিয়ে যেতে দেখলাম । পরে শুনলাম কালাচান্দকান্দি গ্রামের একজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত,পা ভেঙে ফেলছে ও আরিফুল নামে আরেকজন সামান্য আহত হয়েছে।আহত আল-আমিনের বাবা শহিদ মিয়া বলেন,আমার ছেলে আল-আমিন জাহাপুর থেকে ফুটবল খেলা দেখে বাড়ী আসার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হেলাল উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর গংরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। এ ব্যাপারে তিতাস উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের সদস্য হাজী মো. নাছির উদ্দিন এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানান,ঘটানাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।মানুষ আজকাল নির্মম হয়ে গেছে এবং ঘর থেকে বের হলে মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্তদের কারণে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এভাবে চলতে থাকলে সমাজে আরোও বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টি হবে।তাই স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরোও তৎপর ও কঠোর হয়ে এসব দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে আদালতের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো.ইব্রাহিম সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি।পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে জঘন্য অপরাধ করেছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ন্যায় বিচার আশা করি।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিতাস থানার সেকেন্ড অফিসার শ্রী মধুসুদন সরকার বলেন, আমি আমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল রাতেও অভিযান চালিয়েছি। আসামীরা পলাতক রয়েছে।গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে এবং অবশ্যই আমরা সক্ষম হবো ।
তিতাস(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
আগস্ট ৮, ২০২১
৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
