ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
৪:৫৫ অপরাহ্ণ

তুরস্কের উপর অ্যামেরিকার নিষেধাজ্ঞা

খবর ডেক্সঃ- তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল অ্যামেরিকা। রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য। বিরোধ প্রায় এক বছর ধরে চলছিল। রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ক এস ৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার পরই বিরোধের সূত্রপাত। অ্যামেরিকার দাবি, এ কাজ ন্যাটোর নীতি-বিরোধী এবং মার্কিন সেনার কাছে বিপদের কারণ। ফলে তাঁর শাসনের একেবারে শেষ পর্বে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। এই নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের সামরিক সাজসরঞ্জাম কেনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি ও তার সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের উপর লাগু হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ”অ্যামেরিকা তুরস্কের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে একাধিকবার জানিয়েছে, তাঁরা যদি এস ৪০০ সিস্টেম কেনেন, তা হলে তা মার্কিন সেনার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ হবে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ও প্রতিরক্ষা শিল্প ক্ষেত্রে রাশিয়া ঢুকে যাবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের হাতে প্রচুর অর্থ চলে আসবে। এ সবই অ্যামেরিকার চিন্তার কারণ।”

পম্পেও বলেছেন, ”তুরস্কের সামনে বিকল্প সিস্টেমও ছিল। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি সেই সিস্টেমই ব্যবহার করে।

তুরস্ক হলো অ্যামেরিকার গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অ্যামেরিকার শরিক দেশ। অ্যামেরিকা চায়, তুরস্কের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় থাক, সামরিক সহযোগিতা বজায় থাক। কিন্তু সেটা করতে হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এস ৪০০-র বাধা দূর করতে হবে।”
জবাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা অ্যামেরিকার এই একতরফা নিষেধাজ্ঞা খারিজ করছেন ও এই সিদ্ধান্তের নিন্দাকরছেন।

তুরস্কের মিলিটারি প্রকিওরমেন্ট এজেন্সি এসএসবির প্রধান ইসমাইল ডেমির জানিয়েছেন, এর ফলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি হবে না। তুরস্ক নিজের দেশে সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলবেই।

আঙ্কারা আগে জানিয়েছিল, তারা প্রথমে মার্কিন প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু অ্যামেরিকা তা বিক্রি করতে রাজি হয়নি। তখন তারা রাশিয়ার সিস্টেম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। তছাড়া গ্রিসও রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপনাস্ত্র কিনেছে। তাদের অ্যামেরিকা কিছু বলেনি। অথচ, তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। এটা দুমুখো নীতি।

প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার মাস খানেক আগে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিলেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে বাইডেনও মনে করেন, তুরস্ক রাশিয়ার মিসাইল সিস্টেম কিনে ভুল কাজ করেছে। গত অক্টোবরে তুরস্ক প্রথমবার রাশিয়ার মিসাইল পরীক্ষা করে দেখে। তখনই অ্যামেরিকা তাদের সাবধান করে দিয়েছিল।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *