খবর ডেক্সঃ- ফের থেমে গেছে ‘আলী আমজদের ঘড়ি’র কাটা। সিলেটের প্রতীক হয়ে ওঠা এই ঘড়ি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেশ কিছু দিন ধরে আর বাজছেনা, সময়ও জানান দিচ্ছেনা। সিটি কর্তৃপক্ষ বলছেন, কুমারগাওয়ে অগ্নিকান্ডের পর এটি বিকল হয়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ঘড়িটি কুমারগাওয়ে অগ্নিকান্ডের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।
দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর বড় ধরণের সংস্কার কাজ শেষে ২০১৬ সালে ঘড়িটি চালু করেছিলো সিসিক। সিসিকের কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাঝেমাঝেই বিকল হয়ে পড়ে এই ঘড়ি।
সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, কুমারগাওয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর ঘড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এটি সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘড়িটি সচল হবে। তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১৬ সালে বড় ধরণের সংস্কার শেষে এটি চালু করা হয়।
এক সময় দূরদূরান্ত থেকেও ঘড়ির ঘণ্টা শোনা যেতো। সময়ের পরিক্রমায় এই ঘড়ি হয়ে ওঠেছে ঐতিহ্যের অংশ। দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরাও বিশাল এই ঘড়িটি দেখতে আসেন। এর নান্দনিক স্থাপনা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কিন্তু এখন প্রায় সময়ই বিকল হয়ে যায় নান্দনিক এই ঘড়ি।
আলী আমজদের ঘড়ির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি। নিচ থেকে ছাদ পর্যন্ত উচ্চতা ১৩ ফুট, ছাদ থেকে ঘড়ি অংশের উচ্চতা ৭ ফুট, ঘড়ির ওপরের অংশের উচ্চতা ৬ ফুট। মোট উচ্চতা ২৬ ফুট। ঘড়িটির ডায়ামিটার আড়াই ফুট এবং ঘড়ির কাঁটা দুই ফুট লম্বা। লোহার খুঁটির ওপর ঢেউটিন দিয়ে সুউচ্চ গম্বুজ আকৃতির এই ঘড়ি।