আব্দুল করিম, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। গতকাল ভোর থেকে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে নিচু এলাকার বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড, চকবাজার, মুরাদপুর, ২ নং গেট, প্রবর্তক, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যায়। এছাড়াও, বিভিন্ন অলিগলির বাসিন্দারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিবন্দী হয়ে থাকেন।ভোর থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবারের মত এবারও বৃষ্টির কারণে নগরীর নিচু সড়ক ও ফ্লাইওভারের আংশিক অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আখতারুজ্জামান ও বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের র্যাম্পগুলোতে হাঁটুপানি জমে যায়। জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয় ফ্লাইওভারে।বন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল করিম শান্ত জানান, প্রতিদিনের মত গতকাল অফিস যাওয়ার জন্য বের হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বাইক নিয়ে অফিস যাওয়ার সময় পানিতে আটকে গিয়েছি। রাস্তায় বের হয়ে দেখি কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পরিমাণ পানি ছিল।বাকলিয়ার মিয়াখান নগর এলাকার মুদি দোকানদার মো. ইরফান জানান, বৃষ্টির কারণে গতকাল দোকান খুলতে দেরি হয়েছে। দোকানের ভিতর হাঁটুপানি জমে অনেক পণ্য বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে। অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় বিকেল (তিনটা পর্যন্ত) চট্টগ্রামের আকাশে ৪৫.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কতদিন পর্যন্ত এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এরমধ্যে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
আজকের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেসাথে অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা বাতাসের/ঝড়ো হাওয়ার সাথে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও ততসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।চট্টগ্রাম সমুন্দ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা এবং নদী বন্দরে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল রবিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক হতে ঘণ্টায় ১০-১২ কি. মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত পারে। যা অস্থায়ী দমকা হাওয়া আকারে ৩৫-৪৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।ে