আজকেরখবর ডেক্সঃ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করো’নাভাই’রাস শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৫২ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জন। এছাড়া আ’ক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৭ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃ’তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৯৬৫ জনে।
সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ স’ম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অ’তিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
সারাদেশের নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, করো’নাভাই’রাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ২৪ হাজার ৪২৭টি। নতুন পরীক্ষা করা নমুনায় ২ হাজার ৭৫২ জনের দেহে করো’না শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আ’ক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জনে। আ’ক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃ’ত্যু হয়েছে আরও ৩৭ জনের। ফলে ভাই’রাসটিতে মোট মা’রা গেলেন ২ হাজার ৯৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮০১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ২৫ হাজার ৬৮৩ জন।
পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ের্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১ কোটি ৬৪ লাখ ২১ হাজার ৪৬৫ জন করো’না রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ কোটি ৫১ হাজার ৬৪৪ জন।
অ’পরদিকে মৃ’ত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ২৭৬ জনের।
আ’ক্রান্ত বিবেচনায় সারা’বিশ্বের মৃ’ত্যুর হার ৯৪ শতাংশ এবং মৃ’ত্যু হার ৬ শতাংশ।
সুস্থ এবং মৃ’ত্যু ছাড়া বর্তমানে আ’ক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৪৫ জন। এরমধ্যে ৯৯ শতাংশের শারীরিক অবস্থা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। আর ১ শতাংশের অবস্থা সংকটাপন্ন।
করো’নায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যু’ক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে মৃ’ত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৯ জনের। দ্বিতীয় অবস্থা থাকা ব্রাজিলে শনাক্ত ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৯০১ জন আর মা’রা গেছেন ৮৭ হাজার ৫২ জন। এদিকে ভা’রতে দ্রুত বাড়ছে করো’না রোগীর সংখ্যা। ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯ জন রোগী নিয়ে আ’ক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এপর্যন্ত মা’রা গেছে ৩২ হাজার ৮১২ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মা’র্চ প্রথম করো’না ভাই’রাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃ’ত্যুর খবর আসে ১৮ মা’র্চ। দিন দিন করো’না রোগী শনাক্ত ও মৃ’তের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাই’রাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মা’র্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করো’নার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।