খবর ডেস্ক: সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলায় পাথর কোয়ারিসমূহ খুলে দিয়ে লাখো শ্রমিক ব্যবসায়ীর জীবন-জীবিকা রক্ষা করা আহবান জানিয়েছেন বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (৮সেপ্টেম্বর) নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতৃবৃন্দ এই আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবদুল জলিল, দেলওয়ার হোসেন, রফিকুল হক, ইলিয়ান উদ্দিন সেলিম, সাইফুল ইসলাম, নুরুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম, শওকত আলী বাবলু, সাব্বির আহমদ, রফিকুল ইসলাম, আজিজ উদ্দিন, আতিক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর এলাকার শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ী পাথর আহরণ করে যুগ যুগ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সিলেটে বৃহৎ শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠেনি। কর্মসংস্থানের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এ পাথর কোয়ারিকে অবলম্বন করে চলছে বৃহৎ জনগোষ্টির জীবন। বিগত কয়েক বছর পরিবেশ বিনষ্টের কারণে স্থানীয় প্রশাসন পাথর কোয়ারি সমুহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এ পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষের জীবনে নেমে এসছে গভীর অনিশ্চয়তা। নেতৃবন্দ আরো বলেন, কিছু দুবৃর্ত্ত প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশের ক্ষতি ও শ্রমজীবী মানুষ পাথর আহরণ থেকে বঞ্চিত হয়।
সাংবাদিকদের লেখনি ও প্রশাসনের কার্যকর ভুমিকার কারণে পাথর কোয়ারিগুলো বোমা মেশিন মুক্ত হয়। কিন্তু বোমা মেশিন বন্ধ করতে গিয়ে এলাকার পাথর কোয়ারি সমুহ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ফলে রোজগার বঞ্চিত লাখো জনগোষ্টি এ করোনাকালে চরম দুঃসহ জীবনযাপন করছে। এ অবস্থা উত্তরণের জন্য প্রান্তিক জনগোষ্টিকে বাঁচাতে পাথর আহরনের সুযোগ প্রদান অত্যন্ত জরুরী বলে দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বোমা মেশিন মুক্ত, পরিবেশ বান্ধব পাথর আহরণের সুযোগ করে অত্র অঞ্চলের শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।