ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে ঈদ কেনাকাটা। সচেতনতা নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে। এতে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি। তবে প্রশাসন বলছেন, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মানতে ইতিমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, পীরগঞ্জ পৌর শহরের ঢাকাইয়াপট্টিতে কাপড়ের দোকান গুলোতে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে ঈদের কেনা-বেচা। মাস্ক না পড়েই বেচা-বিক্রিতে মগ্ন বিক্রেতারা। করোনা ভাইরাসের কোন প্রভাবই পড়েনি তাদের বেচা-বিক্রিতে। ক্রেতাদেরও অধিকাংশই মাস্ক না পড়ে এবং সামাজিক দূরত্ব না মেনেই করছেন ঈদের কেনা-কাটা।
ঈদের কাপড় কিনতে আসা আসাদুল হক নামে একজন ক্রেতা বলেন, মাস্ক পড়ে কাপড় কিনতে এসে নিজেকে অন্যগ্রহের মানুষ মনে হচ্ছে। ক্রেতা তো দূরে থাক, অনেক দোকানের বিক্রেতার মুখেই মাস্ক দেখতে পেলাম না। দেদারসে তারা বেচা-বিক্রি করে যাচ্ছে।
শরিফুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দেশে যে হারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ছে। সে তুলনায় মানুষ সচেতন হচ্ছে না। সকলের উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতন হওয়া। সেই সাথে প্রশাসনেরও উচিত নজরদারি বাড়িয়ে জনগণকে আরো সচেতন করে তোলা। মাস্ক না পড়ে বেচা-বিক্রিতে মগ্ন বিক্রেতা বলছেন, মাস্ক পড়লে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই মাস্ক সব সময় ব্যবহার করছি না। যখন ক্রেতাদের চাপ বাড়ে তখন মাস্ক পড়ি। আর ক্রেতাদেরকেও মাস্ক পড়তে বলি। দেখা যায় অনেক ক্রেতা মাস্ক ব্যবহারই করে না।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেন, “ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হয়েছে। ঈদ কেনাকাটার সময় সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তারপরেও অনেকে মানছে না। আমরা আবারো মাইকিং করবো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাস্কও বিতরণ করা হবে।”