খবর ডেস্কঃ- এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর সহজ মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ। আর এই বিকাশকে পুঁজি করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তথ্য চুরি করে শুরু হয়েছে প্রতারণা।
এমনই হাজারো ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একমাত্র কারিগরি প্রতিষ্ঠান ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজ থেকে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের সকল তথ্য দিয়ে বোর্ডে আবেদন করেছে। কিন্তু, এ আবেদন যেন তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, তাদের সকল তথ্য চুরি করে কল দিচ্ছে আর এমনভাবে সবকিছু বলছে, যা সঠিক তথ্যেই। আর তারা শিক্ষার্থীদের ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে উপবৃত্তির নামে টাকা দিবে বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে আর হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। হালকা উল্টাপাল্টা কথা বললে হুমকি দিচ্ছে ছাড়পত্র দিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করার
এরকমই প্রতারণা না বুঝে তাদের ফাঁদে পড়ে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ১৯ হাজার টাকা বিকাশ করে। কিন্তু, পরে ঐ নাম্বার বন্ধ পায়। তখনই তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ঠিক এরকমই আরেক ছাত্রকে ফোন দিয়ে বোর্ড থেকে কথা বলছে বলে এবং সে উপবৃত্তির টাকা পেয়েছে বলে ৪৪ হাজার টাকা বিকাশ করিয়ে নেয়। পরে দোকানদার ঐ শিক্ষার্থীর কাছে টাকা চাইলে, শিক্ষার্থী বলে আমি যে টাকা বিকাশ করেছি তার অনেক বেশি আসার কথা। এরকম বাকবিতন্ডার পরে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান ঐ দোকানি।
পরে গত সোমবার দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একইভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে চায়। কিন্তু, সে সচেতন থাকায় তাকে আর বশ করতে পারে নি। পরবর্তীতে তাকে গালি দিয়ে ফোন কেটে দেয়। এরকম আরো অনেক শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে টাকার কথা বলছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আমিন বলেন, ‘এটা কোনো একটা প্রতারণা চক্রের কাজ। আমি জানার পর-ই সকল শিক্ষার্থীদের ফোন দিয়ে জানিয়েছি, তারা যেন প্রতারণার এ ফাঁদে পা না দেয়’।