কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ গ্রামে কৃষি ক্ষেত থেকে গরু তাড়ানিকে নিয়ে কৃষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত কৃষক মখদ্দুছ আলী বাদী হয়ে ভোলাগঞ্জ গ্রামের আজাদ মিয়াকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ১১ জানুয়ারি ভোলাগঞ্জ গ্রামের পশ্চিমে এই মারামারির ঘটনায় ঘটে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ভোলাগঞ্জ গ্রামের পশ্চিমে মখদ্দুছ আলী প্রায় ৮ একর জমিতে গম ক্ষেত, সরিষা ক্ষেত, আলু ক্ষেত, সূর্যমুখি ক্ষেত ও লাউক্ষেত এবং টমেটো ক্ষেতের ফসলের আবাদ করেছেন। আজাদ মিয়ার গরু প্রতিদিন তার গমের ফসল খাবাইয়া প্রায় ৪৫ শতক জমির গমের ফসল নষ্ট করিয়া এবং সরিষা সহ অন্যান্য সবজিক্ষেত ফসল নষ্ট করিয়া আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। তখন মখদ্দুছ আলী বাধা নিষেধ দিলে বিবাদী আজাদ মিয়া তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী দামকী দেয়। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন ১১ জানুয়ারি তারিখে দুপুর অনুমান ২ ঘটিকার সময় আজাদ মিয়ার গৃহপালিত ৪ টি গরু দ্বারা তার গম ফসল খাবাইতে শুরু করে। ঐ সময় তিনি গরুগুলি তাড়াইতে গেলে বিবাদী আজাদ মিয়ার হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়া পিট্যাইয়া তার বাম পায়ের হাটুর নিচে ও ডান হাতে কনুইয়ের জয়েন্টে বারি মারিয়া মারাত্মক ফোলা চেছা ও হাড় ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম করে এবং পিঠে কোমড়ে, বুকে এবং উভয় উরুতে বারি মারিয়া মারাত্মক ফোলা জখম করে। তখন মখদ্দুছ আলীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে আজাদ মিয়া তাকে প্রান নাশের হুমকী, দামকী দিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে উপস্থিত স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার আইও কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই খলিলুর রহমান জানান, অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।