অক্টোবর ১৪, ২০২০
২:১৯ অপরাহ্ণ

ভ্যাপসা গরমে কাহিল জনজীবন

খবর ডেক্সঃ- গত কয়েকদিনের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা বেড়েছে। এদিন চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শরতের বিদায়ের ক্ষণে ভ্যাপসা গরমে কাহিল জনজীবন। প্রখর রোদে নগরে গাছের ছায়া কিংবা দালানের আড়ালে ছায়ায় শীতল পরশ খুঁজেছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ শিশুরাও। দিন গড়ানোর সাথে সাথে গ্রামের দুরন্ত শিশুরা পুকুরের পানিতে নেমে খুঁজেছে স্বস্তি। তবে নাভিশ্বাস উঠেছে শ্রমিক ও দিনমজুরদের।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের উপর দিয়ে স্থলভাগে চলে গেছে। তবে এর প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বেশি থাকার কারণে গরম কাটেনি। তবে বৃষ্টি হলে আজ-কালের মধ্যে গরম কমে যাবে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের গতকাল সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বাতাসের সাথে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক হতে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে, যা অস্থায়ী দমকা হাওয়ার আকারে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
গতকাল দিনের বেলায় চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা-ও স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ আজাদীকে বলেন, আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের মধ্যদিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করে গেছে। কিন্তু তার প্রভাব রয়ে গেছে। যে কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে চট্টগ্রামে বেশি গরম অনুভূত হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে গরম কমে যাবে।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *