খবর ডেক্সঃ
আদালতের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ টাকা দিতে বলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ডিসিকে ভুক্তোভোগীদের মাঝে এ টাকা বিতরণ করতে বলেছে আদালত।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও দ্গ্ধদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ দগ্ধ ৩৭ জনের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, গণপূর্ত সচিব, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটিসহ ১৩ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গত শুক্রবার এশার নামাজের সময় ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পর মোট ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২৮ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
দগ্ধদের মধ্যে কেবল একজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরতে পেরেছেন। বাকি যে আটজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদের বদ্ধ পরিবেশে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।
দগ্ধদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মার-ই-য়াম খন্দকার গত সোমবার জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর-উস সাদিক।
পরে তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, “যেদিন রিট আবেদনটি করা হয় সেদিন পর্যন্ত ২১ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপর আজকে পর্যন্ত ২৮ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ মৃতের সংখ্যা এবং আরও কয়েকজন বিবাদী যুক্ত করে আজ সম্পূরক আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছেন।
“সে আদেশে আদালত তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭ পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এই ৩৭ পরিবারের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল জারি করেছেন।”
তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, “বিস্ফোরেণের ঘটনার দায় আসলে কার, সে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এখনও দায় নিরূপণ করেনি। ফলে এ আদেশ দায় নিরূপণের আগেই দায় চাপিয়ে দেওয়ার মত। রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে।