ডিসেম্বর ৬, ২০২০
৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

মহাকাশেও মুলার ফলন

খবর ডেস্কঃঃ- পৃথিবীর কক্ষে বসে নজরদারি অনেক হলো। এবার যখন খুশি চাঁদে নেমে নুড়িপাথর কুড়িয়ে আনতে হতে পারে। মোদ্দা কথা, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে বসে থাকার দিন শেষ। নভোচারীদের সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারো খেতে হবে। সেই পৃথিবী থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া বাসিখাবার চলবে না। একেবারে টাটকা ফল, আনাজ দিয়ে রান্নাবান্না হবে মহাকাশে। সে জন্য এখন চাষের কাজে মন দিয়েছে নাসা।

চাষ বললেই তো হলো না, এ তো আর পৃথিবীর মাটি নয়। মহাকাশে যেখানে হাওয়া বাতাস নেই, মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও নেই, সেখানে চাষ করা চাট্টিখানি কথা নয়। মাটি লাগবে, পানি, সার, আলো সবই লাগবে।
তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা নাসা এসব সমস্যাকে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে। সেই কবে থেকেই চাষবাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এত দিনে তার ফল মিলেছে। টাটকা ফসল ফলেছে মহাকাশেই। মুলার বীজ দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এখন কচি কচি পাতা বেরিয়েছে। ফলও ধরেছে।

পৃৃথিবীতে বসে সেই চাষের কাজ দেখভাল করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার রয়েছে ফ্লোরিডায়। এই স্পেস সেন্টারের দায়িত্ব আধা নাসার, আধা ফ্লোরিডা সরকারের। নাসার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার) অনেক কাজকর্মই এখান থেকে পরিচালনা করা হয়। মহাকাশে ফসল ফলানোর ব্যাপারটাও এখানকার বিজ্ঞানীরাই দেখছেন।

প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. গ্যারি স্টুট খুব ব্যস্ত। মুলার ফলনের দায়িত্ব অনেকটা তারই। কেনেডি স্পেস সেন্টারের গবেষণাগারেও তিনি মাইক্রোগ্র্যাভিটির পরিবেশ বানিয়ে সেখানে চাষ করে পরীক্ষা করছিলেন। মহাকাশে ফসলের ফলন যাতে ভালো হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি।

হঠাৎ মুলা চাষের কারণ কী?
পৃৃথিবী যদি কোনো দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে! যদি হঠাৎ কোনো বিপর্যয় চলে আসে তাহলে কী হবে? কীভাবে পৃথিবীর বাইরেও মানুষকে টিকিয়ে রাখা যায়, তার পরিকল্পনা থেকেই মহাকাশে বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মুলা চাষ করতে খুব বেশি সময় লাগে না, তাছাড়া মুলা কাঁচাই খাওয়া যায়। রয়েছে যথাযথ পুষ্টিগুণ।

মুলা ঠিকঠাক উৎপন্ন হল কিনা তার পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হবে পৃথিবীতে। নীল এবং লাল আলোতেই গাছ সবচেয়ে ভালো সাড়া দেয়। বাক্সেরে এলইডি আলোর মধ্যে চাষ করা হয়। ১৮০-র বেশি সেন্সর দিয়ে চাষের কাজ করা হয়।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *