ঢাকাই সিনেমায় ফাঁকা মাঠে গেল এক দশকের বেশি সময় ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শাকিব খান। আর এই সময়ে বেশ কয়েকটি হিট ছবি রয়েছ তার। অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক হওয়ায় অনেককে রাস্তায় নামিয়েছেন অন্যদিকে কেউ কেউ দাবি করেছেন শাকিবের কারণে আজ চলচ্চিত্রের বেহাল অবস্থা।
চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক লিটন হাসমি বলেন, শাকিব খান বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক। তার ছবি হলে এলে দর্শক আসেই। তার সিনেমা নেওয়ার জন্য হলমালিকরাও মুখিয়ে থাকে। কিন্তু শাকিব খান গেল ১০ বছর থেকে সিডিউল ফাঁসানোয় প্রযোজকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। শাকিবের জন্য অনেক প্রযোজক সিনেমা বানাতে আসছেন না।
শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগে শাকিব খানকে বয়কট করে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন। সে যাত্রায় আদালতে রিট করে শাকিবকে কাজে ফেরায় শাপলা মিডিয়া।
এক বুক আশা নিয়ে চলচ্চিত্রে অর্থলগ্নি করতে আসেন প্রযোজকেরা, স্বপ্ন দেখেন শাকিবকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানাবেন, তবে তার নানা অনিয়মের বলি হয়ে অনেক প্রযোজকই চলচ্চিত্র থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
সিডউল ফাঁসানো নয় শুধু, শাকিবের কারণে অনেক তরুণ পরিচালক আর চলচ্চিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি এমন অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বুলবুল বিশ্বাস বলেন, শাকিব খানের কারণে চলচ্চিত্রে নতুনরা এসেই চলে যাচ্ছে। আমার একটা সিক্যুয়েন্সের কাজ করতে একদিন লাগত। সেই কাজটা করতে দীর্ঘ নয় মাস ঘুরিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে শতশত অভিযোগ রয়েছে। সেটা সকলের জানা।
শাহেনশাহ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শাকিব খান। এ ছবিটির নির্মাণ ব্যয় ছিল দুই কোটি টাকা। কিন্তু শাকিব সিডিউল ফাঁসানোয় ছবির বাজেট দ্বারায় চার কোটি টাকা। এ বিষয়ে নির্মাতা শামীম আহমেদ রনি বলেন, শাকিব ভাইয়ের সাথে আমার শাহেনশাহ সিনেমার শুটিং ফিক্সড করলাম। তার কাছ থেকে ৩০ দিনের সিডিউল নিলাম। কিন্তু তিনি সিডিউল ফাঁসিয়ে দিলেন। দুই কোটি টাকার ছবি দ্বিগুন ব্যয়ে নির্মাণ করতে হলো।