খবর ডেক্সঃ- সিলেটসহ দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে হবে এ পরীক্ষা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে সারাদেশে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে যেসব জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হচ্ছে সেগুলো হলো- গাইবান্ধা, মুন্সিগঞ্জ, পঞ্চগড়, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মেহেরপুর, সিলেট, জয়পুরহাট ও পটুয়াখালী। কারও শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কিনা, তা দ্রুততম সময়ে জানার পদ্ধতি হলো অ্যান্টিজেন টেস্ট।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তখন থেকে আরটি-পিসিআর টেস্টেই করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অ্যান্টিজেন টেস্টে সময় প্রয়োজন হবে মাত্র ১৫ মিনিট এবং খরচও হবে অনেক কম। এছাড়াও অ্যান্টিজেন টেস্ট সিলেটে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সরকারের কোভিড-১৯ পরীক্ষা নীতিমালায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে বিশেষায়িত কোনো ল্যাবরেটরির প্রয়োজন হয় না। তবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার নির্দিষ্টতা প্রায় শতভাগ হলেও সংবেদনশীলতা কম। ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফলাফল পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে পিসিআর বা জিন এক্সপার্ট পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে। আর অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ হলে ওই ব্যক্তিকে নিশ্চিত পজিটিভ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ছয় মাস আগে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি করোনা শনাক্তে এত দিন ধরে চলা রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ পলিমারেজ রি-অ্যাকশন (আরটিপিসিআর) পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালুর পক্ষে মত দেয়। কমিটির বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালুরও সুপারিশ করেন।