সুনামগঞ্জের ছাতকে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ, পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে বেতনভাতা সহ চাকুরীতে যোগদানের সুযোগ না দেয়াতে সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে গত ৩১আগষ্ট একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লাফার্জে নির্যাতিত ২৩ পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে হেলাল আহমদ বাদী হয়ে লাফার্জের
সিইও ই আর কিম সহ প্লান্ট
ম্যানেজার হারপাল সিং,এইচ আর এন্ড লিগ্যাল ডাইরেক্টার মিজানুর রহমান, প্লান্ট এডমিন ম্যানেজার ,এনামুল হক,
প্লান্ট এডমিন এসিস্টেন ম্যানেজার ইয়াকুব আলী,সিবি এ সভাপতি আনোয়ারসহ হোসেনসহ ৬ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, ছাতকস্থ লাফার্জে কর্মরত ২৩ পরিবহণ শ্রমিক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর
চট্রগ্রামে ২য় শ্রম আদালতে ২৩ টি আই আর মামলা (নং-৩০-৫২/১৩)দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে চট্রগ্রামের ২য় শ্রম আদালতের বিচারকের এক আদেশে বলা হয়। পরিবহন শ্রমিকদের চাকুরিতে যোগদানের সুযোগ প্রদানসহ চাকুরী সংক্রান্ত সকল সুযোগ সুবিধা, মামলা গুলি নিস্পত্তি অবধি বহাল রেখে কোন বকেয়া ভাতাদি থাকলে তা ও পরিশোধ করার জন্য। আদালতে রায় দীর্ঘ ৮বছরেও বাস্তবায়ন করেনি লাফার্জ কর্তৃপক্ষ।
নির্যাতিত শ্রমিকদের সঙ্গে লাফার্জে কোম্পানী দফায়-দফায় বৈঠক করলেও তা আজও কোনো সুরাহা হয়নি।
এ মামলাটি সর্বউচ্ছ আদালতও নির্যাতিত শ্রমিকদের পক্ষে আদেশ করেন।
এ বিষয়টি নিয়ে লাফার্জের বিরুদ্ধে কোর্ট অফ কন্টেম মামলাও করা হয় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। জানাযায়, সর্বশেষ গত২৭ আগষ্ট সিলেটের জামান কম্পেক্সে লাফার্জের সেলস অফিসে শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন লাফার্জের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এ বৈঠকে ও শ্রমিকদের কে কোনো সুরাহা না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা গুলো প্রত্যাহার করার হুমকি দেয়া হয়। এ মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত কর্তৃক পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিকেশন পিবিআই সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ করেন।
বাদীর মামলার আইনজীবি দিলোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে লাফার্জ পরিবহন শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান জানান,দীর্ঘ আট বছর যাবৎ আমরা মামলা পরিচালনা করে নিম্ম আদালত থেকে শুরু করে উচ্ছ আদালত পর্যন্ত চাকুরী বহাল,বেতন ভাতাসহ আদেশ পেয়েছি। কিন্তু লাফার্জ কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছেন না।
দীর্ঘদিন তারা আমাদেরকে আপিলের মাধ্যমে একের পর এক আইনের ফাক পোকর দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এদিকে মামলা তোলার জন্য প্রায়ই হুমকী দিয়ে আসছেন। নির্যাতিত শ্রমিকরা নিরুপায় হয়ে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। গত ৩১ আগষ্ট সিলেটে মামলা করেছি আমরা। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইর হাতে দিয়েছেন আদালত।