জুলাই ৩১, ২০২০
১০:১৯ অপরাহ্ণ

সীমিত আকারে খুলে দেয়া হোক ‘সাদা পাথর’ পর্যটন কেন্দ্র

খবর ডেস্ক: সিলেটের অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। পাথর, পানি, পাহাড় ও প্রকৃতির টানে এখানে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রটি। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠা নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেঁস্তোরা, বার্মিজ দোকান, পর্যটক বহনকারী দুই শতাধিক নৌকা বন্ধ রয়েছে। ফলে এর সাথে জড়িত সহস্রাধিক মানুষ বেকার জীবন-যাপন করছেন। চলতি ১৪২৭ বাংলা সনের জন্য ১ কোটি ৮ লাখ টাকায় ভোলাগঞ্জ পর্যটন ঘাটটি ইজারা হলেও করোনা পরিস্থিতিতে একদিনও চলেনি ঘাট। এক্ষেত্রে লোকসানে পড়েছেন ইজারাদার পক্ষও।

১৮ মার্চ থেকে বন্ধ সাদা পাথর। এরপর এপ্রিলে পহেলা বৈশাখ, মে মাসে ঈদুল ফিতর গেছে। রাত পোহালেই পালিত হবে ঈদুল আজহা। পর্যটক আগমনে বিধি-নিষেধ তুলে না নেয়ায় এবারও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন উঠে গেলেও ‘সাদা পাথর’ পর্যটন স্পটটি বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আটকে আছে।

আমরা লক্ষ্য করছি, টানা ‘সাধারণ ছুটির’ পর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সীমিত আকারে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হয়েছে। জীবন-জীবিকার তাগিদে ধলাই নদীর ভাটরাই ও কালাসাদেক বালু মহাল লিজ হয়েছে। জীবিকার তাগিদে যেখানে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন জেলার সহ¯্রাধিক শ্রমজীবি মানুষ। অথচ পর্যটন কেন্দ্র ‘সাদা পাথর’ খোলার ব্যাপারে কোনো আভাস মেলেনি।

করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়া পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে হলেও সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হোক। এর ফলে সচল হবে অর্থনীতির চাকা। আর লোকসানের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *