কুমিল্লার হোমনার জয়পুর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামবাসি মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে গণমিছিল করেছে। একালাবাসি কয়েকজন মাদক কারবারিকে চিহ্নিত করে তাদের নাম উল্লেখ করেছেন গণমিছিলে।
তারা হলো,জয়পুর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে আঃ লতিফ, মুছা, আনোয়ার ও জীবন মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
গত শনিবার দুপুরে এই চার জন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে গণমিছিল করেছেন এলাকাবাসি।এলাকাবাসির গণমিছিলে অংশ গ্রহণ করেন মো. আবুল হোসেন, গাজী মিয়া, আবদুল মালেক, মো.আমির হোসেন, মো.বকুল মিয়া, মো.মোবারক হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, মো. ছাত্তার মিয়া,আবদুল করিম,
মো.মোকলেস মিয়া, আ.রহমান, খাজা মিয়া,
মো.মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম, মো. মজিবুর রহমান, মো.খেলু মিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের আগত মানুষজন।
এসময় তারা চারজন মাদক কারবারির একটি সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা চারজন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। কেউ বাঁধা দিলেই তাদের উপর চলে সীমাহীন অত্যাচার ও নির্যাতন। এই মাদক কারবারিদের কাছে এলাকাবাসি জিম্মি হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এই মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মৌখিক অভিযোগ করলে পুলিশ এসে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে এক-দেড় মাস ব্যবসা বন্ধ থাকলেও এখন আবার রমরমা মাদক ব্যবসা শুরু করেছে বলেও এলাকাবাসি জানিয়েছেন।
এই ৪ জন মাদক কারবারির দ্বারা যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা হলো, আঃ জলিলের ছেলে মোকবুল হোসেন (৪৯), নুরু মিয়ার ছেলে ফিটু (৩০), মোকবুল মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০) এবং দিলু মিয়ার ছেলে ইউসূফ নবী (৩৪)। এরই মধ্যে ইউসূফ নবী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে।
এই বিষয়ে আঃ লতিফ বলেন, তারা সকলে মিথ্যা কথা বলেছে।আসল ঘটনা হলো জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ। প্রবাসি আকিজুল ইসলাম এই ঘটনার মূল নায়ক। সে চেয়েছিল জায়গাটি কেনার জন্য। কিন্তু জায়গা না কিনতে পেরে সে এখন উল্টা-পাল্টা করছে। আমাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনেছে।অথচ আমি সিগারেট পর্যন্ত পান করি না। আমাকে বানাচ্ছে মাদক কারবারি।
এই বিষয়ে হোমনা থানার ওসি (তদন্ত) রিপন বালাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এবং ওসি মহোদয় নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে তদন্ত করে দেখব প্রকৃত ঘটনাটি কি।